আফগানিস্তানে চলমান অস্থিতিশীলতার মধ্যেই চীন সফরে গেলো তালেবান প্রতিনিধি দল। বুধবার (২৮ জুলাই) উত্তরাঞ্চলের শহর তিয়ানজিনে চীনা পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই’র সাথে বৈঠক করে তারা।
রয়টার্স এ খবর নিশ্চিত করেছে। তালেবানের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ নেতা মোল্লা বারাদারের নেতৃত্বে ৯ সদস্যের এ প্রতিনিধি দল চীন সফর করছে।
তালেবান বলছে, বেইজিংয়ের আমন্ত্রণেই দুদিনের সফরে চীনে গিয়েছেন তারা। যদিও চীনা পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সাথে বৈঠকের আলোচ্যসূচি নিয়ে এখনও কিছু জানায়নি বেইজিং। তবে তালেবান বলছে, শান্তি প্রক্রিয়া ও নিরাপত্তা পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা হয়েছে। আফগানিস্তানের মাটিকে চীনের বিরুদ্ধে ব্যবহার করতে দেয়া হবে না বলেও আশ্বস্ত করেছে তালেবান। তারা বলেছেন, চীন যদি আফগানিস্তানে বিনিয়োগ করতে চায় তাহলে তালেবান তাদেরকে আফগানিস্তানের মাটিতে সব ধরনের নিরাপত্তা দেবে।
তালেবান মুখপাত্র মোহম্মদ নাঈম এক টুইট বার্তায় লিখেছেন, রাজনীতি, অর্থনীতি ও উভয় দেশের নিরাপত্তা সংশ্লিষ্ট ইস্যু এবং আফগানিস্তানের বর্তমান অস্থিতিশীল পরিস্থিতি ও শান্তি প্রক্রিয়া কার্যকরের সম্ভাব্য উপায় প্রভৃতি বিষয়ে বৈঠকে আলোচনা হয়েছে।
চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর মুখপাত্র ঝাও লিজিয়ান জানিয়েছেন, আফগানিস্তানের অভ্যন্তরীণ কোনো বিষয়ে নাক গলাবে না চীন। তালেবানরা আফগানিস্তানের গুরুত্বপূর্ণ শক্তি। স্বাভাবিকভাবেই শান্তি প্রতিষ্ঠা ও পুনর্গঠনে তাদের ভূমিকা থাকবে। তবে তারা এও আশা করে তালিকাভুক্ত জঙ্গিদের সাথে তালেবান দূরত্ব রেখে চলবে।
মার্কিন সেনা প্রত্যাহার শুরুর পর থেকেই আফগানিস্তানে বেড়েছে তালেবানের তৎপরতা। আফগান বাহিনীর পাশাপাশি তাদের ঠেকাতে বিমান হামলা চালাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। এ পরিস্থিতিতে তালেবান নেতাদের চীন সফরকে নতুন মেরুকরুণ হিসেবে দেখা হচ্ছে।
Leave a reply