সম্প্রতি ভাইরাল হয়েছে সংযুক্ত আরব আমিরাতের সর্ববৃহৎ ও বিশ্বখ্যাত বিমান সংস্থা অ্যামিরেটসের ৩৩ সেকেন্ডের একটি বিজ্ঞাপন। যেখানে দেখা যাচ্ছে, অ্যামিরেটসের একজন বিমানবালা হাসিমুখে দাঁড়িয়ে আছেন বিশ্বের সর্বোচ্চ স্থাপনা বুর্জ খলিফার ছাদে, তার হাতে একটি প্ল্যাকার্ড, সেখানে লেখা ‘অন দ্যা টপ অফ দ্যা ওয়ার্ল্ড’।
কিছুদিন আগে সংযুক্ত আরব আমিরাতের এই বিমান পরিবহন কোম্পানিটিকে লাল তালিকাভূক্ত করেছিলো ব্রিটেন। দেশটি অ্যামিরেটসের সকল বিমানের ওপর জারি করেছিলো ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা। সম্প্রতি ব্রিটেন সেই লাল তালিকা থেকে বাদ দিয়েছে অ্যামিরেটসের নাম। এর পরপরই আলোচিত এই বিজ্ঞাপনটি বানিয়েছে অ্যামিরেটস। বিজ্ঞাপনটি দেখার পর থেকেই এটি আছে নেটিজেনদের আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে।
বিজ্ঞাপনটিতে দেখা যায় যে, বুর্জ খলিফার মাথায় এক তরুণী বিমানবালা অন দ্যা টপ অফ দ্য ওয়ার্ল্ড লেখা একটি প্ল্যাকার্ড হাতে দাঁড়িয়ে আছেন বিশ্বের সর্বোচ্চ স্থাপনা বুর্জ খলিফার সর্বোচ্চ পয়েন্টে।
গায়ে কাঁটা দিয়ে ওঠার মত এই বিজ্ঞাপনটির মূল আকর্ষণ যে তরুণী দুঃসাহসিক এই কাজটি করেছেন তাকে কিন্তু অত্যন্ত সাবলীল দেখা যায় এ বিজ্ঞাপনে। পরনে অ্যামিরেটস বিমানবালাদের আটপৌরে পোশাক নিয়েও তার চোখে মুখে ছিলোনা বিন্দুমাত্র ভয় বা আতঙ্ক। তবে বিজ্ঞাপনটি প্রচারের পর ওই মডেলের নিরাপত্তা নিয়ে অনেক সমালোচনা হয়েছে অ্যামিরেটসের ওই বিজ্ঞাপনের আইডিয়া নিয়ে।
পরে অবশ্য জানা যায়, অ্যামিরেটসের বিজ্ঞাপনটিতে যিনি বিমানবালার পোষাকে বুর্জ খলিফার সর্বোচ্চ পয়েন্টে দাঁড়িয়ে আছেন, তিনি পেশায় একজন স্কাইডাইভিং প্রশিক্ষক। তার নাম নিকোল স্মিথ লুডউইক। পেশার নাম শুনেই বোঝা যাচ্ছে ব্যক্তিগত জীবনে একজন ভীষণ অ্যাডভেঞ্চার প্রিয় মানুষ মিসেস নিকোল লুডউইক। স্কাইডাইভিং প্রশিক্ষক হওয়ার কারণেই এত সাবলীলভাবে বিজ্ঞাপনের শ্যুটিংয়ে কাজ করতে পেরেছেন নিকোল। অ্যাডভেঞ্চার প্রিয় এই নারী নিজেকে পরিচয় দেন ভ্রমণকারী, স্কাইডাইভার, ইয়োগা প্রশিক্ষক ও হাইকার হিসেবে। তার মতে, জীবন একটি দুঃসাহসিক ও রোমাঞ্চে ভরা অভিযান। রোমাঞ্চ না থাকলে জীবন অর্থহীন।
ইন্সটাগ্রামে নিজের দুঃসাহসিক কাজকারবারের ভিডিও প্রায়ই আপলোড করেন নিকোল। প্রায়ই দুঃসাহসিক সব স্ট্যান্টের ভিডিও আপলোড করেন নিকোল। তবে অ্যামিরেটসের এই বিজ্ঞাপনটিকেই তার জীবনের শ্রেষ্ঠ অভিজ্ঞতা বলে মনে করেন তিনি।
অ্যামিরেটসের আলোচিত বিজ্ঞাপনটি দেখুন এখানে।
/এসএইচ
Leave a reply