বিশ্ব কাঁপানো দলবদল শেষে লিওনেল মেসি এখন প্যারিস সেইন্ট জার্মেইয়ের (পিএসজি) খেলোয়াড়। মঙ্গলবার (১০ আগস্ট) দলে যোগ দিয়ে পরদিন বুধবার শেষ করেছেন আনুষ্ঠানিকতা।
অথচ মাসখানেক আগেও কোপা আমেরিকার লড়াই চলাকালীন সময়ে মেসি প্রায় নিশ্চিত ছিলেন, যে করেই হোক বার্সেলোনাতেই থেকে যাবেন তিনি। এমনকি ক্লাব সভাপতি হুয়ান লাপোর্তাও তাকে সেই আশ্বাস দিয়েছিলেন।
কিন্তু কোপা জয়ের আনন্দ কাটতে না কাটতেই মাথায় আকাশ ভেঙে পড়ল এই বার্সা কিংবদন্তীর। লা লিগার বেতন মারপ্যাঁচে বার্সা ছাড়তে হয় মেসিকে। এরপর কয়েকদিনের ভেতরই পিএসজিতে যোগ গিয়ে দেন মেসি। কিন্তু আরও অন্য ক্লাবের অফার থাকতেও কেন পিএসজিকে বেছে নিলেন মেসি? জানালেন
বুধবার (১১ আগস্ট) প্যারিসে আনুষ্ঠানিকভাবে পরিচয় করিয়ে দেয়ার পর সংবাদ সম্মেলনে ভক্তদের এই প্রশ্নের উত্তর দিয়েছেন মেসি নিজেই।
মেসি জানিয়েছেন, পিএসজি কোচে পচেত্তিনোর সাথে আমার বেশ ভালো বোঝাপড়া হয়েছে। এছাড়াও এই দলে আছে বন্ধু নেইমার ও সতীর্থ ডি মারিয়া ও পারাদেস। পাশাপাশি দলটির হয়ে প্রথম চ্যাম্পিয়নস লিগ জয়ের চ্যালেঞ্জ আমাকে পিএসজির দিকে টেনে এনেছে।
সংবাদ সম্মেলনে মেসি বলেছেন, পচেত্তিনোকে দিন ধরে চিনি। তার সঙ্গে আমার সম্পর্ক খুবই ভালো। তাছাড়া এখানে আর্জেন্টিনার অনেকে রয়েছে। এসব কারণেই এই ক্লাবকে বেছে নিয়েছি।
মেসি আরও বলেন, আমার ও পিএসজির লক্ষ্য একই, সাফল্যের দিকে এগিয়ে যাওয়া। পিএসজি দুর্দান্ত একটি দল। লিগ ওয়ানকে শক্তিশালী করতে সাহায্য করেছে দলটি। দলটির কারণেই এ লিগ অনেক বেশি প্রতিযোগিতামূলক হয়ে উঠেছে।
মেসি আরও বলেন, পিএসজি চ্যাম্পিয়নস লিগ প্রায় জিতেই গিয়েছিল। কিন্তু ভাগ্যের কারণে জেতা হয়নি। এই টুর্নামেন্ট জেতার জন্য ভাগ্যেরও দরকার হয়। সেরা ক্লাবও ভাগ্য না থাকলে জিততে পারে না। আমি পিএসজিকে চ্যাম্পিয়নস লিগে সাফল্য এনে দেওয়ার জন্য এসেছি।
তবে সব কিছুর চাইতে বন্ধুত্বের টানকেই বড় করে দেখলেন মেসি।
তিনি বলেন, পিএসজির ড্রেসিংরুমে আমার অনেক বন্ধু রয়েছে। যাদের পাশে আমি খেলতে চেয়েছিলাম, এখানে এসে তাদের পাচ্ছি। নেইমার রয়েছে, সঙ্গে ডি মারিয়া, পারাদেসরাও আছে। এই ক্লাব বেছে নেওয়ার পেছনে ওরাই আসল কারণ।
এমবাপ্পে ও প্রথম ম্যাচ খেলা প্রসঙ্গে মেসি বলেন, ভাবতেই পারছি না এমবাপ্পের সঙ্গে খেলব। একসঙ্গে অনুশীলন করব। জানি না কবে অভিষেক হবে আমার। আমি এক মাস খেলিনি। এখন আমাকে একা একা প্রস্তুতি সারতে হবে। আমি খেলার জন্য মুখিয়ে রয়েছি।
Leave a reply