কাদের হাত ধরে আবার ক্ষমতায় তালেবান?

|

মোল্লা আব্দুল ঘানি বারাদার। সংগৃহীত ছবি।

২০০১ সালে ক্ষমতা হারানোর পর আবার ক্ষমতায় যেতে তালেবানতেক অপেক্ষা করতে হলো ২০ বছর। এর মধ্যে এই গোষ্ঠীকে পাড়ি দিতে হয়েছে নানান কঠিন পরিস্থিতি। ১৯৮০ সালে এই গোষ্ঠিটি যুক্তরাষ্ট্রের সহায়তায় আফগানিস্তানে থেকে সোভিয়েত দখলদারিত্ব হটাতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছিল।

এরপর ১৯৯৬ সালে আফগানিস্তানের শাসন ক্ষমতা দখলে নেওয়ার পর তারা দেশটিতে কঠোর শরিয়া আইন চালু করেছিল। ২০০১ সাল পর্যন্ত ক্ষমতায় থাকার পর মার্কিন সমর্থিত আফগান বাহিনীর হাতে পরাজিত হয়ে তালেবানের প্রতিষ্ঠাতা মোল্লা ওমর পালিয়ে যান। ২০১৩ সালে মোল্লা ওমর পলাতক অবস্থায়ই মারা যান।

সম্প্রতি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র আফগানিস্তান থেকে সেনা প্রত্যাহার করে নেয়ার পর থেকেই খুব অল্প সময়েই দেশটির বিভিন্ন এলাকা দখলে নেওয়া শুরু করে তারা। রোববার (১৫ আগস্ট) রাজধানীও দখলে নেয় তালেবান। ইতোমধ্যে দেশটির প্রেসিডেন্ট আশরাফ ঘানি তাজিকিস্তানে আশ্রয় নিয়েছেন।

এই দীর্ঘ সময়ে যাদের হাত ধরে তালেবান আফগানিস্তানে দখল প্রতিষ্ঠা করলো, তাদের কয়েকজনের পরিচিতি জেনে নেয়া যাক।

হাইবাতুল্লাহ্ আখুনজাদা
২০১৬ সালে তালেবানের সর্বোচ্চ নেতা মোল্লা মনসুর আখতার নিহত হওয়ার পর হাইবাতুল্লাহ্ আখুনজাদা তার স্থলাভিষিক্ত হন। তার দায়িত্বের মধ্যে রয়েছে দলটির রাজনৈতিক, ধর্মীয় ও সামরিক বিষয়গুলো। ২০১৬ সালে তিনি হঠাৎ নিখোঁজ হন। তার বয়স ৬০ বছরের কাছাকাছি।

মোল্লা মুহাম্মদ ইয়াকুব
তালেবানের প্রতিষ্ঠাতা মোল্লা ওমরের ছেলে মোল্লা মুহাম্মদ ইয়াকুব। তিনি দলটির সামরিক প্রধান। তার বয়স আনুমানিক ৩০।

সিরাজুদ্দিন হাক্কানি
হাক্কানি নেটওয়ার্কের নেতা জালালুদ্দিন হাক্কানির ছেলে সিরাজুদ্দিন হাক্কানি পাকিস্তান-আফগানিস্তান সীমান্তে তালেবানের আর্থিক ও সামরিক সম্পদের বিষয়গুলো দেখভাল করেন। কাবুলের হোটেলে আফগানিস্তানের তৎকালীন প্রেসিডেন্ট হামিদ কারজাইকে হত্যাচেষ্টাসহ বেশ কয়েকটি হাই-প্রোফাইল হামলার পেছনে হাক্কানি নেটওয়ার্কের হাত রয়েছে বলে ধারণা করা হয়। তার বয়স ৪০ থেকে ৫০ এর মধ্যে।

মোল্লা আব্দুল ঘানি বারাদার
তালেবানের সহ-প্রতিষ্ঠাতা মোল্লা গনি বারাদার তালেবানের রাজনৈতিক কার্যালয়ের প্রধান। ২০১০ সালে পাকিস্তানের করাচি শহরে গ্রেফতার হওয়ার পর ২০১৮ সালে মুক্তি পান এই নেতা।

শের মোহাম্মদ আব্বাস স্তানিকজাই
২০০১ সালে ক্ষমতা হারানোর আগে শের মোহাম্মদ আব্বাস স্তানিকজাই তালেবান সরকারের উপপ্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। বছর দশেক ধরে তিনি দোহায় বসবাস করেছেন। ২০১৫ সালে সেখানকার রাজনৈতিক কার্যালয়ের প্রধান হিসেবে দায়িত্ব নিয়েছেন তিনি।

আব্দুল হাকিম হাক্কানি
হাক্কানি তালেবানের আলোচক দলের প্রধান। তালেবানের সর্বোচ্চ নেতা আখুনজানার সবচেয়ে আস্থাভাজন হিসেবে মনে করা হয় তাকে।


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply