তালেবান কাবুলের নিয়ন্ত্রণ নেয়ার পর আফগান নারীরা আশঙ্কা করছিলেন তাদের আবারও অবরোধবাসিনীতে পরিণত হতে হবে। কিন্তু সেসব আশঙ্কাকে হাওয়ায় উড়িয়ে এবার আফগান নারীদের সরকারে অংশ নেয়ার বার্তা দিয়েছে তালেবান। সেই সাথে, নারী-পুরুষ নির্বিশেষে দেশের সকল কর্মজীবীকে নির্ভয়ে নিজ নিজ কর্মস্থলে যোগদানের নির্দেশ দিয়েছে তারা। জানিয়েছে, তালেবান চায় না কোনো আফগান নাগরিক ক্ষতিগ্রস্ত হোক।
আলজাজিরার সূত্রে জানা গেছে, তালেবান চায় তাদের সরকারে আফগান নারীরাও অংশগ্রহণ করুক। তালেবানের সাংস্কৃতিক কমিশনের সদস্য এনামুল্লাহ সামানগানি নিশ্চিত করেছেন, আমরা সসম্মানে আফগান নারীদের আহ্বান জানাচ্ছি আমাদের সরকারে অংশগ্রহণের জন্য। তিনি আরও বলেন, ‘ইসলামিক আমিরাত অফ আফগানিস্তান’ চায় না আফগান নারীরা ক্ষতিগ্রস্ত হোক বা পিছিয়ে থাকুক। শরিয়া আইন অনুযায়ী, সরকারি কাঠামোতে তাদের অংশগ্রহণ থাকা উচিত বলে আমরা মনে করি।
দোহায় অবস্থিত তালেবানের আন্তর্জাতিক দপ্তরের উপ-প্রধান আব্দুস সালাম হানাফি গতকাল সোমবার (১৬ আগস্ট) বলেন, আফগানিস্তানের সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারী, বিদেশি কূটনীতিক ও সেনাবাহিনীর সদস্যসহ সরকারি কাজে নিয়োজিত সকল চাকরিজীবী নারী-পুরুষ নির্বিশেষে সবাই কোনো ধরনের আশঙ্কা ছাড়া নিজ নিজ কর্মস্থলে অতিসত্ত্বর ফিরে আসুন। আফগানদের প্রতি কোনো অবিচার করা হবে না এবং নারীরা তাদের হিজাব রক্ষা করে কর্মস্থলসহ সব কাজ স্বাভাবিকভাবে চালিয়ে যেতে পারবেন।
আরেক তালেবান মুখপাত্র জাবিউল্লাহ মুজাহিদ বলেন, সাবেক আফগান সরকারের হয়ে কাজ করতেন বলে কাউকে হেনস্তা করা যাবে না।
আফগানিস্তানের সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের তাদের কর্মস্থলে ফিরে আসার আহ্বানও জানিয়েছে তালেবান। ইতোমধ্যে আফগানিস্তনের শীর্ষস্থানীয় গণমাধ্যম টোলো নিউজ তাদের নারী সংবাদ কর্মীদের সংবাদ উপস্থাপনায় ফিরিয়ে এনেছে। টোলো নিউজের প্রধান টুইটার পোস্টে দেখা গেছে, এক নারী উপস্থাপিকা তালেবানের মিডিয়া বিভাগের এক সদস্যের লাইভ সাক্ষাৎকার নিচ্ছেন। এছাড়া তার অপর এক পোস্টে আজ সকালের নিউজরুম মিটিংয়ের ছবিও পোস্ট করেন তিনি। সেখানে হিজাব পরিহিতা এক নারী সংবাদকর্মীকেও সেই মিটিংয়ে অংশ নিতে দেখা গেছে।
/এসএইচ
Leave a reply