সংযুক্ত আরব আমিরাতে আশ্রয় পাওয়া আফগানিস্তানের পদচ্যুত প্রেসিডেন্ট আশরাফ ঘানি দেশত্যাগের পর তার প্রথম প্রকাশিত ভিডিও বার্তায় বলেন, রক্তপাত এড়াতে খুব দ্রুত বের হতে হয়েছে তাকে, সাথে নেননি কোনো টাকা। এমনকি জুতা বাঁধার মত সময়ও তার ছিলো না।
তালেবানের হাতে কাবুল পতনের পর রক্তপাত এড়াতে খুব দ্রুততার দেশত্যাগের দাবি করা পদচ্যুত আফগান প্রেসিডেন্টের ব্যাপারে অভিযোগ, তিনি দেশত্যাগের আগে ৪টি গাড়ি ও একটি হেলিকপ্টার ভর্তি টাকা নিয়ে গেছেন। এই ভিডিও এই দাবীকে গুজব বলে অভিহিত করেছেন আশরাফ গণি।
তিনি বলেন, এসব অভিযোগ ভিত্তিহীন। রক্তপাত এড়াতে দেশত্যাগে বাধ্য করা হয়েছে আমাকে। জুতা বদলানোর মত সময়ও ছিলো না, তাই স্যান্ডেল পায়েই কাবুল ত্যাগ করতে হয়েছে। যারা বলছে তোমাদের প্রেসিডেন্ট অর্থের বিনিময়ে তোমাদের বিক্রি করে গেছে, তাদের কথা বিশ্বাস করবেন না, এ দাবি ভিত্তিহীন। আমি এসব গুজবের তীব্র প্রতিবাদ জানাই।
দেশত্যাগ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আমি দেশত্যাগে বাধ্য হয়েছি। নয়তো দেশপ্রেমিক আফগানরা আরও একজন নির্বাচিত প্রেসিডেন্টকে খুন হতে দেখতো। তালেবান চুক্তি ভঙ্গ করে কাবুলের দখল নিয়েছে, এটা না করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলো তারা।
দেশত্যাগের পর তাজিকিস্তান, কাতার, ওমান, লেবানন প্রভৃতি দেশে আশ্রয় না পেয়ে পরে সংযুক্ত আরব আমিরাতে রাজনৈতিক আশ্রয় লাভ করেন পদচ্যুত এ আফগান প্রেসিডেন্ট। দেশটির দাবী, মানবিক কারণে তারা আশরাফ গণি ও তার পরিবারকে আশ্রয় দিয়েছে। তিনি সেখানে কোথায় রয়েছেন সে সম্পর্কে কিছুই জানা যায়নি।
/এসএইচ
Leave a reply