আফগান নারী খেলোয়াড়দের পালিয়ে যেতে বলছেন খালিদা

|

পুরুষ ক্রিকেট দল অনুশীলনে ফিরলেও কী হবে আফগানিস্তান নারী ক্রিকেট ও ফুটবল দলের? ছবি: সংগৃহীত

আফগানিস্তানে তালেবানদের শাসনে অন্যসব ক্ষেত্রের মত ক্রীড়াক্ষেত্র নিয়ে বাড়ছে শঙ্কা। তবে পুরুষ ক্রিকেট দল অনুশীলনে ফিরলেও কী হবে আফগানিস্তান নারী ক্রিকেট ও ফুটবল দলের? জীবন শঙ্কায় কেউ নিজের পরিচয় গোপন করছে আবার কেউ বা দেশ ছাড়ছেন। মাঠের যুদ্ধ ছেড়ে তাইতো আফগান খেলোয়াড়রা এখন জীবন যুদ্ধে ব্যস্ত।

আসন্ন টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে আফগান ক্রিকেট দল অংশ নিতে পারবে কিনা এ নিয়ে অনিশ্চয়তায় মাঝে কিছুটা মিলেছে স্বস্তি। ক্রিকেটের উন্নতিতে বাধা হবে না বলে জানায় তালেবানরা। এতে না হয় স্বস্তি আসলো আফগান পুরুষ ক্রিকেট খেলোয়াড়দের।

কিন্তু নারীদের খেলাধুলা তো অনেক পরের কথা তালেবানের শরিয়াতে নারীদের বাসা থেকে বের হতেই আছে অনেক বিধিনিষেধ। পরিচয় বদলানো বা দেশ ত্যাগ, নারী খেলোয়াড়দের জীবন বাঁচাতে অন্যথায় কোন পথ নেই। এমন পরিস্থিতির বর্ণনা দিলেন আফগান সাবেক নারী ফুটবলার খালিদা পাপল।

আফগানিস্তানের সাবেক ফুটবলার খালিদা পাপল বলেন, পুরো ব্যাপারটা আমার জন্য খুবই দুঃখের। এতগুলো বছর ধরে আমরা খেলার মাঠে নারীর অংশগ্রহণ নিয়ে কাজ করছি, তাদের উৎসাহিত করছি কেলায় অংশ নিতে। অথচ, আজ আমিই তাদের পালিয়ে যেতে বলছি। এটা করছি, কারণ আমি জানি, মেয়েগুলোর জীবন হুমকিতে।

অনেক বাধা বিপত্তি পেড়িয়েই আফগানে বেড়ে উঠেছিলো নারী ফুটবল দল। ফিফার নিয়ম মোতাবেক ভালোই এগিয়ে যাচ্ছিলো আফগানিস্তানের নারী ফুটবল দল। বিশ্বকাপের কোয়ালিফাই উত্তীর্ণ হওয়ার পথে ছিলো তারা। কিন্তু জীবন শঙ্কায় এখন ফুটবলের থেকে মুখ ফিরাতে বাধ্য হচ্ছেন সে দেশের নারীরা।

এদিকে আফগান নারী ক্রিকেট দলেরও একই পরিস্থিতি। ২০১০ সালে গড়ে উঠা দলটি আইসিসি দিক নির্দেশনায় এগিয়ে যাচ্ছিলো। কিন্তু এখনকার অবস্থায় ঘোর অন্ধকার। শঙ্কা প্রকাশ করেছে খোদ আইসিসিও।

তালেবানদের নতুন আমলে শঙ্কা সত্য হবে নাকি নারী ক্রীড়াবিদরা জয়ী হবেন জীবন যুদ্ধে, সেটি জানতে অপেক্ষা করতে হবে আরও কিছুদিন।


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply