মিরপুর চিড়িয়াখানার নতুন আকর্ষণ দুর্জয় ও অবন্তিকা

|

মায়ের পরিচর্যায় সুস্থভাবে বেড়ে উঠছে দুর্জয় ও অবন্তিকা।

মিরপুর চিড়িয়াখানার দর্শনার্থীদের জন্য নতুন আকর্ষণ হতে যাচ্ছে সম্প্রতি জন্ম নেয়া দুই বাঘ শাবক দুর্জয় ও অবন্তিকা। দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে আনা রয়েল বেঙ্গল টাইগার জুটি টগর ও বেলীর শাবকগুলো সুন্দরভাবেই বেড়ে উঠছে। পুরোটা সময় মায়ের কাছেই থাকছে দুর্জয় ও অবন্তিকা।

খাচার ভেতরেই দুই ভাই-বোনের যত খুনসুটি। মা বেলীর সাথে ছায়া হয়ে লেপ্টে থাকা তো আছেই। মাকে দেখেই একটু একটু করে বাঘ হয়ে উঠছে বড় বিড়াল আকারের ছানা দুটি।

লকডাউনের কারণে জন্মের পর থেকেই বেশ নির্জন পরিবেশ পেয়েছে মা ও শাবকেরা। তবে সাংবাদিকদের আনাগোনায় মানুষ দেখার কৌতুহল দেখা গেছে তাদের মাঝে। প্রথমে কিছুটা ভয় আর সংকোচ থাকলেও তা কাটিয়ে খানিক বাদেই আসতে শুরু করে মানুষের কাছাকাছি। তবে মা বাঘের শাসনও নজরে পড়ে। নিরাপত্তার ব্যাপারে খুবই সতর্ক থাকতে দেখা যায় তাকে।

জন্মের আড়াই মাস পেরুলো। আবদ্ধ অবস্থায় এই সময়টুকুই সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ। কেননা বিগত দিনে ঢাকা চিড়িয়াখানায় কয়েকটি বাঘ শাবকের জন্ম হলেও, সেগুলো মারা যায় নানা কারণে। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে মা বাঘের মধ্যে এক ধরনের উদাসীনতা দেখা গেছে। তবে নতুন এই দুই শাবকের যত্নের ব্যাপারে তাদের মা বেশ আন্তরিক।

মিরপুর জাতীয় চিড়িয়াখানার পরিচালক ড. আব্দুল লতিফ বলেন, বাঘগুলো ফুরফুরে মেজাজে আছে। আর আমরা ওদেরকে নিয়মিত ব্যালান্সড ডায়েট দিচ্ছি যার জন্য ওদের ইমিউনিটি সিস্টেম ভালো আছে এবং কোনো রোগবালাই হয়নি। ওদের স্বাস্থ্য ভাল এছাড়াও ওরা একটা ফেভারেবলও কন্ডিশন পেয়েছে।

চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষ জানায়, বাঘের প্রজনন সমস্যা দূর করতে দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে আনা হয় দুই জোড়া রয়েল বেঙ্গল টাইগার। এতে চিড়িয়াখানায় নেয়ার পর এখানে রাখা বাঘেদের জন্মহার বেড়েছে।

জাতীয় চিড়িয়াখানার পরিচালক ড. আব্দুল লতিফ, আমরা ওদের ইন বাউন্ড ব্রিডিং কমাতে ও বাচ্চাদের স্বাস্থের ব্যাপারে সতর্ক আছি। আমাদের তত্ত্বাবধানে থাকা বাঘেদের রিপ্রোডাকশন বাড়ানোর জন্য আমরা বিদেশের সাথে এক্সচেঞ্জ প্রোগ্রাম করবো বলেও পরিকল্পনা করছি।

দুর্জয় ও অবন্তিকার বেড়ে ওঠা নির্বিঘ্ন রাখতে আলাদা রাখা হয়েছে বাবা টগরকে। জানা গেছে, এভাবে টানা ৫ মাস মায়ের কাছেই থাকবে দুই শাবক।

/এসএইচ


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply