বগুড়ায় হাসপাতালে স্বামীকে মারধর ও অন্তঃসত্ত্বার পেটে লাথি মারার অভিযোগ

|

বগুড়ার শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ (শজিমেক) হাসপাতাল। ছবি: সংগৃহীত।

বগুড়া ব্যুরো:

বগুড়ার শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ (শজিমেক) হাসপাতালের ইন্টার্ন চিকিৎসকদের বিরুদ্ধে এক অন্তঃসত্ত্বা নারীর স্বামীকে মারধর এবং ওই অন্তঃসত্ত্বার পেটে লাথি মারার অভিযোগ উঠেছে। এ সময় তাদের রক্ষা করতে যাওয়া পুলিশ সদস্যদেরও মারধরের শিকার হতে হয়।

শনিবার (২১ আগস্ট) রাতে হাসপাতালের গাইনী বিভাগে এই ঘটনা ঘটার পর রাতেই দেড়মাসের অন্তঃসত্ত্বা ওই নারীকে শহরের একটি ক্লিনিকে ভর্তি করেছেন স্বজনরা।

ওই নারীর স্বজনরা জানান, গত বুধবার (১৮ আগস্ট) অসুস্থ হয়ে পড়ায় জয়নব বেগমকে শজিমেক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তার স্বামী আসলাম হোসেন জানান, বমি এবং পেটব্যথা নিয়ে ভর্তি হলেও শনিবার পর্যন্ত তার স্ত্রীর শারীরিক অবস্থার কোনো উন্নতি হয় নি। দুপুরে গাইনী ওয়ার্ডে দাঁড়িয়ে হাসপাতালের অব্যবস্থাপনা ও চিকিৎসায় অবহেলা নিয়ে তিনি নিজের মোবাইলে কিছু বক্তব্য রেকর্ড করেন। বিষয়টি জানার পর ইন্টার্ন চিকিৎসকরা রাত আটটার দিকে আসলামকে একটি কক্ষে ডেকে নেন।

আসলামের অভিযোগ, ওই কক্ষে ঢোকার পরপরই ১০ থেকে ১৫ জন ইন্টার্ন চিকিৎসক তাকে কিল-ঘুষি মারতে থাকেন। খবর পেয়ে তার স্ত্রী ও ছোট ভাই সেখানে গেলে তাদেরকেও মারধর করেন তারা। এসময় এক চিকিৎসক তার অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রীর পেটে লাথি মারেন বলেও অভিযোগ আসলামের।

ছিলিমপুর পুলিশ ফাঁড়ির সদস্যরা ঘটনার খবর পেয়ে তাদের উদ্ধার করতে গেলে তাদেরকেও মারধর করেন ইন্টার্নরা। ফাঁড়ির এএসআই রাকিবুল ইসলাম জানান, ঘটনার সময় ইন্টার্ন চিকিৎসকরা তাকেসহ ফাঁড়ির আরও তিন পুলিশ সদস্যকে মারধর করেছেন। পরে অতিরিক্ত পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নেয়।

ঘটনার পর রাত সাড়ে ১০টার দিকে অসুস্থ জয়নবকে শজিমেক হাসপাতাল থেকে বের করে শহরের ইসলামী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ওই বেসরকারি হাসপাতালের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মাজেদুর মাজেদুর রহমান জুয়েল জানান, ওই রোগী বমি এবং পেটব্যথা নিয়ে শজিমেকে ভর্তি হন। মারপিটের ঘটনার পর ক্লিনিকে ভর্তি হলে চিকিৎসকরা দেখেন, তলপেটে আঘাতের কারণে তার বেশ রক্তপাত হচ্ছে।

শজিমেক হাসপাতের উপ-পরিচালক ডা. আবদুল ওয়াদুদ দাবি করেন, চিকিৎসককের সঙ্গে রোগীর স্বজনদের হট্টগোল হয়েছিল বলে তারা জেনেছেন। ওই সময় পুলিশ ঘটনাস্থলে গেলে তারাও হট্টগোলে জড়িয়ে পড়েন। তবে মারধরের কোনো ঘটনা ঘটে নি, কেবল ধস্তাধস্তি হয়েছে।

/এস এন


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply