বাংলাদেশ মহিলা আওয়ামী লীগের ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা শাখার সাংগঠনিক সম্পাদক ফারহানা মিলীকে সংগঠন পরপন্থী, সংগঠন বিরোধী, অসৌজন্যমূলক কর্মকাণ্ডের জন্য পদ থেকে অব্যাহত দেয়া হয়েছে। কেন্দ্রীয় বাংলাদেশ মহিলা আওয়ামী লীগের একটি সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তি আরও জানানো হয়, বাংলাদেশ মহিলা আওয়ামী লীগের ব্রাক্ষণবাড়িয়া জেলা শাখার সাংগাঠনিক সম্পাদক ফারহানা মিলী তার নিজস্ব সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যেমে যে অসৌজন্যমূলক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে সে জন্য বাংলাদেশ মহিলা আওয়ামী লীগ তীব্র নিন্দা ও ক্ষোভ প্রকাশ করছে। বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের সাথে সাথে ফারহানা মিলী বাংলাদেশ মহিলা আওয়ামী লীগের সকল পর্যায়ের সকল দায়িত্ব পালনের অধিকার হারালো।
এদিকে ফারহানা মিলীর ব্যক্তিগত ফেসবুকে দেখা যায় তিনি গত ৩ মার্চ পোস্ট দেন যে, রাজনীতি বুঝুক না বুঝুক, সেক্সনীতি বুঝলেই বাপের বয়সী স্থানীয় জেলা সাধারণ সম্পাদকের কোলে বসে ফুরতি করাটাই রাজনীতিতে পদবী পাওয়ার কাজ দেবে! শিক্ষিত না হলে দোষ নাই, একাধিক নেতা আর ব্যবসায়ীদের শারিরিক সুখ দিতে পারলেই পদবী পাওয়া যাবে! মঞ্চে দাঁড়িয়ে দুই চারটা রাজনৈতিক ভালো কথা বলতে না পারলে ও হোটেলে গিয়ে বাচ্চাদের ভঙ্গিমায় প্রেমালাপ পারলেই রাজনীতি হবে!
এই পোস্টের পরপরই ফারহানা মিলীর পোস্ট নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যেমে আলোচিত হয়। এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত তার এই পোস্টটি ৩৫১ বার শেয়ার করা হয়। এবং ২ হাজারের বেশি লাইক পড়ে। এরপর তিনি তার নিজস্ব ফেসবুকে এই বিষয়ে বিভিন্ন সময় পোস্ট দেন।
গতকাল তার এক পোস্টে দেখা যায় তিনি দাবি করেন, যদি তিনি দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গ করেন তাহলে তাকে বহিষ্কার করা হোক। তিনি তার এক পোস্টে লিখেন, আমি যদি দলীয় শৃংখলা ভঙ্গ করে থাকি, আমাকে দল থেকে বহিস্কার করা হোক! তবুও কেউ বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ নিয়ে বাজে মন্তব্য করবেন না! জাতিরজনক শেখ মুজিবুর রহমান এর আদর্শ প্রতিদিনই বিক্রি করে চলেছে বিভিন্ন পদধারী! মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর আস্থাভাজন হয়ে এলাকায় ত্রাসের রাজত্ব কায়েম কারীদের যদি কেউ আওয়ামীলীগ বলে, তবে আর কিছুই বলার নেই, সে যত সিনিয়র ই হোক! যা বলার তা বলেছি, যা বলতে চাই তা বলবই।
আজ সন্ধ্যা ৭.৪১ মিনিটে আর একটি পোস্টে ফারহানা মিলী সাংগাঠনিক সম্পাদক পদ থেকে পদত্যাগ করেছেন বলে জানান।
Leave a reply