আঞ্চলিক ক্রিকেট কাঠামোর প্রতিশ্রুতির কথা এড়িয়ে গেলেন বিসিবি সভাপতি

|

সাধারণ বার্ষিক সভায় বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন।

বিসিবির কাছে দুই দশকের পুরোনো প্রতিশ্রুতির নাম আঞ্চলিক ক্রিকেট কাঠামো। গত বৃহস্পতিবারের (২৬ আগস্ট) সাধারণ সভায় প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়ন না হওয়ার কারণ জানিয়েছেন বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন। বললেন, মাঠ ছাড়া সম্ভব নয় আরসিএ গঠন। তবে এড়িয়ে গেলেন মাঠের মালিক জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ ও বিসিবির দীর্ঘদিনের বিরাজমান বিরোধের কথা।

বিসিবির সাধারণ সভার নির্ধারিত আলোচ্যসূচির একটি হবে আঞ্চলিক ক্রিকেট কাঠামো, এ যেন নিয়ম হয়ে দাঁড়িয়েছে। ২০০১ সালের সাধারণ সভাতেও ছিল, ছিল সবে শেষ হওয়া ২০২১ সালের সভাতেও। ২০১৭ সালের সভাতে নাজমুল হাসানের কমিটি দ্রুততম সময়ে এটি বাস্তবায়নের জন্য দিয়েছিল শক্ত প্রতিশ্রুতি।

তবে বৃহস্পতিবারের সাধারণ সভাতে তার মুখেই শোনা গেল অন্য কথা। বললেন, করোনা আর মাঠ সঙ্কটের কারণে প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়ন করা সম্ভব হয়নি। যদিও সাড়ে তিন কোটি টাকা ব্যয়ে মিলেছে অভিজ্ঞতা। তার উপর ভিত্তি করেই বিসিবি নিয়েছে এবার মাঠ কেনার নতুন প্রকল্প।

বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন বলেন, রিজিওনাল ক্রিকেটের মাঠ কই? মাঠগুলা কার হাতে? ডিসি চালাবে? খেলা চালাবে কে? স্টেডিয়াম তো আর আমাদের না, আমরা চাচ্ছি খেলার মাঠ।

অথচ বিভাগীয় স্টেডিয়ামগুলোর প্রায় সবগুলোই রীতিমতো আনুষ্ঠানিকভাবে দেয়া হয়েছে ক্রিকেট উন্নয়নে ব্যবহারের জন্য। কিন্তু তাতেও রয়েছে সমস্যা। কারণ, ১৯৯১ ও ২০০৮ সালে প্রণীত সরকার ও মাঠের মালিক এনএসসি’র দুটি আইনেই এ বাবদ নির্দিষ্ট হারে অর্থ জমা দেয়ার বাধ্যবাধকতা থাকলেও বিসিবি তা মানছে না নানা কারণে।

পাওনা চেয়ে চিঠি চালাচালির পর সব মিলিয়ে ২০১৭ পর্যন্ত বিসিবির নিকট থেকে প্রায় দুই কোটি টাকা পেয়েছে এনএসসি। এরপর আর কোনো যোগাযোগ নেই দুই পক্ষের। বিসিবিতে সবসময়ই সরকারি প্রভাবশালী ব্যক্তিদের অবস্থান। অপর পক্ষে থাকা এনএসসির সরকারি কর্মকর্তারা তাই এ নিয়ে আর ঘাটাতে রাজি নন। তেমনি আগ বাড়িয়ে উপকার করতেও রাজি নন তারা। আর এই কারণেই থেকে যাচ্ছে বিদ্যমান তথাকথিত মাঠ সঙ্কট।

নাজমুল হাসান পাপন বলেন, এনএসসি ঠিক না করলে আমরা খেলবো কীভাবে! এটা আমাদের হাতে না। আমরা খরচের পরিকল্পনা করে এনএসসিতে জমা দিয়েছি। ওরা কবে ঠিক করবে সে জন্য বসে আছি।

অন্য দেশের ক্রিকেট বোর্ডগুলো করোনার কারণে অর্থ ধার চাইছে আইসিসির কাছে। সেখানে উল্টো চিত্র বিসিবিতে। শেষ তিন বছরে স্পনসর ও টিভি স্বত্ব থেকে আয় দ্বিগুণ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৯ মিলিয়ন ডলারে। তাই সরকারি টাকা বকেয়া রেখেই কোটি টাকা খরচে হয়ে গেল এমন সাধারণ সভা।


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply