কখনও কখনও চোর সিন্ডিকেটের সাথে হাত মিলিয়ে অভিনব কায়দায় গাড়ি ছিনতাইয়ের নাটক সাজায় চালক। এরপর রং বদলে অথবা যন্ত্রাংশ খুলে বিক্রি করে দেয় পুরো গাড়িটি। এমন একটি চক্রের মূল হোতাসহ ৫ জনকে নারায়ণগঞ্জ থেকে গ্রেফতার করেছে র্যাব।
নারায়ণগঞ্জ থেকে গ্রেফতার হওয়া ওই গাড়ি চোর চক্রের সদস্যরা কাজ করতেন কয়েকটি ভাগে ভাগ হয়ে। এদের মধ্যে প্রথম দলটি ছদ্মবেশে সংগ্রহ করতো গাড়ির তথ্য। ২য় দলটি মূল সমন্বয়কের নির্দেশনায় সেটি ছিনতাই বা চুরি করতো। কখনও কখনও চালকদের অর্থের প্রলোভন দেখিয়েও ছিনতাইয়ের নাটক সাজাতো তারা। ব্রিফিংয়ে এমনটি জানিয়েছেন র্যাবের মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক খন্দকার আল মঈন।
আর তৃতীয় দলটি করতো চোরাই গাড়িগুলো ঢাকা, নারায়ণগঞ্জসহ দেশের বিভিন্ন জায়গায় লুকিয়ে রাখার কাজ। কখনও আবার তারা গাড়ির মালিকের সঙ্গে যোগাযোগ করে টাকা দাবি করে ছেড়ে দেয় গাড়িগুলো। আবার কখনও কখনও টাকা নেওয়ার পরও গাড়ি ফেরত দেয় না।
শনিবার (২৮ আগস্ট) রাজধানীর কারওয়ানবাজারে র্যাবের মিডিয়া সেন্টারে ব্রিফিংয়ে এমন তথ্য জানান র্যাবের মিডিয়া উইংয়ের প্রধান। তিনি জানান, গাড়ি চুরির এই চক্রে ১৫ থেকে ২০ জন কাজ করে।
র্যাব জানায়, চক্রের ৪র্থ দলটি গাড়ি চুরির কয়েকদিন পর ওয়ার্কশপে নিয়ে গাড়ির রং পরিবর্তন করে। কখনও কখনও গাড়ির যন্ত্রাংশ আলাদা করে অল্প দামে বিক্রিও করে ফেলে তারা।
Leave a reply