ঝিনাইদহে অনুষ্ঠিত হলো ঐতিহ্যবাহী লাঠিখেলা

|

লাঠি হাতে দুই লাঠিয়ালের কসরত উপভোগ করছেন উপস্থিত গ্রামবাসী।


ঝিনাইদহ প্রতিনিধি:


ঝিনাইদহের শৈলকুপা উপজেলার বড়দাহ গ্রামে অনুষ্ঠিত হয়ে গেল গ্রাম বাংলার ঐতিহ্যবাহী লাঠিখেলা। লাঠি খেলার আয়োজন ঘিরে স্থানীয়দের মাঝে ছিল উৎসবের আমেজ। দুপুর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত হওয়া এ আয়োজনে ঝিনাইদহের শৈলকুপা উপজেলাসহ আশপাশের উপজেলা থেকে ১০ টি লাঠিয়াল দল এ আয়োজনে অংশ নেয়।

গতকাল বুধবার (১ সেপ্টেম্বর) বিকেলে বড়দাহ গ্রামের বিএএমএস মাধ্যমিক বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে দুপুরের পর থেকেই দুর-দুরান্ত থেকে ছুটে আসে নানা বয়সী মানুষ। ঢাক, ঢোল আর কাঁসার ঘন্টার শব্দে উৎসবমুখর পরিবেশের সৃষ্টি হয় গ্রামজুড়ে। প্রথমে বাদ্যের তালে তালে অঙ্গভঙ্গি প্রদর্শন করে লাঠিয়ালরা। এরপরই শুরু হয় মূল আকর্ষণ।

২ জন লাঠিয়াল শব্দের তালে তালে ঝাঁপিয়ে পড়ছেন একে অন্যের উপর। নিজেকে রক্ষা করে পাল্টা আঘাত করার সুযোগ খুঁজছেন অপরজন। এসব দৃশ্যে উচ্ছসিত হয়ে ওঠেন দর্শকরা।

ঐতিহ্যবাহী লাঠি খেলা দেখতে ভিড় করে নানা বয়সের মানুষ। করোনা আর লকডাউনে মানুষের মাঝে ছিলো না কোন আনন্দ বিনোদন তাই অনেক দিন পর এমন খেলা দেখে খুশি দর্শকরা।

উম্মে সায়মা নামের এক দর্শক বলেন, আমি ছোটবেলায় লাঠিখেলার কথা শুনেছিলাম। আজ প্রথম দেখলাম। গ্রাম বাংলার ঐতিহ্য যে কত সুন্দর না দেখলে বোঝানো যাবে না। লাঠিখেলা খুবই উপভোগ করছি। খুবই ভালো লাগছে।

লাবনী আক্তার নামে আরেক জন বলেন, করোনার কারণে তো সবই বন্ধ ছিল। পরিবার ও বাচ্চাদের নিয়ে কোথাও যেতে পারিনি। ২ বছর পর হলেও যে এমন আয়োজন আবারও করা হয়েছে সে জন্য আমরা আয়োজকদের ধন্যবাদ জানাই।

লাঠিখেলার আয়োজক ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ও যুবলীগ নেতা আবুজার গিফারী গাফফার বলেন, দীর্ঘদিন করোনার কারণে সবকিছুই বন্ধ ছিল। মানুষের চলাচলেও নিষেধাজ্ঞা ছিল, সেখানে বিনোদন তো অনেক পরের কথা। মুলত গ্রামের খেটে খাওয়া মানুষদের কিছুটা বিনোদন আর গ্রাম বাংলার হারানো ঐতিহ্য ধরে রাখতেই এই আয়োজন করা হয়েছে।

/এসএইচ


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply