সীমান্ত হত্যা: লাশও ফেরত দেয়নি বিএসএফ

|

ছোট্ট আলিফ জানে না বিএসএফের গুলিতে প্রাণ গেছে তার বাবার।

লালমনিরহাটের পাটগ্রামে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর গুলিতে নিহত দুই বাংলাদেশি যুবকের মরদেহ এখনও ফেরত দেয়নি বিএসএফ। গেলো সাত দিন ধরে লাশ ফেরত পাওয়ার অপেক্ষায় দিন কাটছে পরিবার দুটির। তাদের অভিযোগ, প্রতিদিন বিজিবি ক্যাম্পে গিয়েও মিলছে না মরদেহ ফেরত পাওয়ার আশ্বাস।

নিহতদের পরিবারগুলো বলছে, লাশ না পাওয়ায় ধর্মীয় সংস্কার পালন করতে পারছেন না তারা। নিহত একজনের স্ত্রী বলেন, নিজের শিশু সন্তানকে বাবার কবর দেখানোর জন্য হলেও লাশ ফেরত চান তিনি।

গেল ২৯ আগস্ট সকালে লালমনিরহাটের বুড়িমারী সীমান্তে গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান ইউনুস ও সাগর। তাদের মরদেহ নিয়ে যায় ভারতের মেখলিগঞ্জ থানা পুলিশ। তারপর থেকেই স্বজনরা মরদেহ পাবার অপেক্ষায় রয়েছেন। তবে স্বজন কিংবা প্রশাসন কেউই পায়নি গ্রহণযোগ্য কোনো আশ্বাস।

নিহত ইউনুসের বোন বুলি খাতুন জানান, বারবার লাশ আনতে গেলেও লাশ পাননি তারা।

লাশ ফেরতের সম্ভবনা কম বলেই জানান লালমনিরহাটের পাটগ্রাম থানার ওসি ওমর ফারুক। তিনি বলেন, লাশ পাওয়ার কোনো সম্ভাবনা তৈরি হলে তা জানা যাবে।

এদিকে, লাশ ফেরতের দাবিতে বুড়িমারী স্থলবন্দর এলাকায় বিক্ষোভ করেছেন দুই নিহতের পরিবারের সদস্য ও স্থানীয়রা। এসময় তারা বন্দরের আমদানি রফতানি কার্যক্রমও বন্ধ করে দেয়। পরে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

মরদেহ ফেরত পাওয়ার বিষয়ে বক্তব্য দিতে রাজি হয়নি, বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের ৬১ ব্যাটেলিয়ন বা বুড়িমারী ক্যাম্পের কোনো কর্মকর্তা।


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply