শিশুদের জন্য ভিন্নধর্মী এক প্রকৌশল স্কুল

|

টার্স ইঞ্জিনিয়ারিং স্কুলের শিক্ষার্থীরা।

রাজশাহীর প্রত্যন্ত এক এলাকায় চলছে শিশু-কিশোরদের জন্য ভিন্নধর্মী একটি প্রকৌশল স্কুল। রাজশাহী-ভিত্তিক প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান টার্স বাইনারি (টিএআরএস) চালু করেছে টার্স ইঞ্জিনিয়ারিং স্কুল নামক ভিন্নধর্মী এ প্রতিষ্ঠান।

রাজশাহীর দুর্গাপুর উপজেলার কাঁচুপাড়া গ্রামে কাজ শুরু করেছে এই স্কুল। গ্রামীণ জনপদের শিশুদেরকে প্রকৌশল-সংক্রান্ত ব্যবহারিক দক্ষতা প্রদান করে কাজে দক্ষ করে তুলছে এ স্কুল।

১০-১৮ বছরের শিশু-কিশোরদের হাতে কলমে প্রকৌশল-প্রযুক্তির নানান বিষয় শেখানোর চেষ্টায় চালু হয়ে এই ভিন্নধর্মী স্কুল। প্রচলিত শিক্ষাব্যবস্থার সঙ্গে প্রকৌশলের দক্ষতা শিশুদের মধ্যে ছড়িয়ে দিচ্ছে স্কুলটি। স্কুলটির প্রতিষ্ঠাতা শফিক বারী বলেন, শিক্ষার্থীরা এই স্কুল থেকে প্রযুক্তি আর প্রকৌশলের মত বিষয়ের মৌলিক ধারণা পাচ্ছে। ধীরে ধীরে শিক্ষার্থীদের রোবটিক্স, আইওটি আর প্রোগ্রামিংয়ের মতো বিষয় সম্পর্কে জানানো হচ্ছে।

পড়ার বাইরে অবসর সময়ে শিশু-কিশোরদের প্রকৌশল বিষয়ে আগ্রহী করার উদ্দেশ্যে কাজ করছে প্রতিষ্ঠানটি। দুর্গাপুর সরকারী পাইলট হাইস্কুলের ৯ম শ্রেণীর শিক্ষার্থী আব্দুল বাসিত মাহিম বলেন, আমরা প্রকৌশলের বিভিন্ন মৌলিক ধারণা পাচ্ছি। ক্লাসের পড়ার বাইরে এভাবে জানার সুযোগ পেয়ে আমরা দ্রুত বিভিন্ন সমস্যার সমাধান করতে পারছি।

দুর্গাপুর সরকারী পাইলট হাইস্কুলের ৮ম শ্রেনীর শিক্ষার্থী কামরুজ্জামান বলেন, আমি বড় হয়ে প্রকৌশলী হতে চাই। বিজ্ঞানের বিষয়গুলো খটমটে মনে হলেও মৌলিক বিষয়গুলো সম্পর্কে নানন্দিকভাবে জানতে পারছি।

স্কুল কর্তৃপক্ষ যমুনা টেলিভিশনকে জানিয়েছে, শিশুদের ছয় মাসব্যাপী নানান বিষয়ে প্রশিক্ষণের সুযোগ দেয়া হচ্ছে। এই সময়কালে তারা হাতেকলমে প্রোগ্রামিং শিখবে এবং নানান হার্ডওয়ার চেনার পাশপাশি সেগুলো ব্যবহার করতে শিখবে। নিয়মিত শিক্ষাদান ছাড়াও শিক্ষামূলক চলচ্চিত্র, ডকুমেন্টারি প্রদর্শনী ও নানান প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান পরিদর্শনের মাধ্যমে শিশু-কিশোরদের সৃজনশীলতা ও সমস্যা-সমাধানের নানান কৌশল সম্পর্কে জানানো হবে।

/এসএইচ


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply