অবশেষে অজেয় পানশির উপত্যকার নিয়ন্ত্রণও নিলো তালেবান।
আজ সোমবার (৬ সেপ্টেম্বর) সংবাদ সম্মেলনে পানশির বিজয়ের ঘোষণা দেন তালেবান মুখপাত্র জাবিহুল্লাহ মুজাহিদ। তিনি ঘোষণা দেন, এর মাধ্যমে যুদ্ধের সমাপ্তি হলো আফগানিস্তানে। আক্রমণের মুখে বিদেশে আশ্রয় নিয়েছেন প্রতিরোধ বাহিনীর প্রধান ও সাবেক রাষত্রপতি আমরুল্লাহ সালেহ। নিহত হয়েছেন, পানশিরের নেতা আহমেদ মাসুদের মুখপাত্র ও কয়েকজন আত্মীয়। এদিকে, পানশির জয়ের পরই নতুন সরকারের রূপরেখা দিয়েছে তালেবান।
ইতিহাস সাক্ষী, অদম্য-অজেয় পানশির। সোভিয়েত কিংবা মার্কিন বাহিনীও যেখানে পরাস্ত হয়েছে, দুই সপ্তাহের লড়াইয়ে সেই উপত্যকা দখলে নিলো তালেবান। প্রাদেশিক গর্ভনর অফিসের সামনে তালেবানের পতাকা ওড়ানোর মাধ্যমে সম্পন্ন হয় জয়ের আনুষ্ঠানিকতা।
তালেবান মুখপাত্র জাবিউল্লাহ্ মুজাহিদ বলেন, অনেক যুদ্ধ-সংঘাত হয়েছে আর নয়। এখন আফগানবাসী শান্তি চায়। আমরা পানশিরে শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য এখন থেকে কাজ করবো। এখানকার উন্নয়ন আর সম্প্রীতিই আমাদের মুল লক্ষ্য। পানশিরবাসী আমাদের দেখে ভয়ে আর আতঙ্কে থাকুক সেটা আমরা কখনোই চাই না।
তালেবান বলছে, পানশির ছেড়ে পার্শ্ববর্তী দেশে পালিয়েছেন প্রতিরোধ বাহিনীর প্রধান ও সাবেক ভাইস প্রেসিডেন্ট আমরুল্লাহ সালেহ। আত্মগোপনে যেতে বাধ্য হয়েছেন পানশিরের মুজাহিদিন নেতা আহমেদ মাসুদ। প্রাণহানি হয়েছে, তার পরিবারেও। তালেবানের দাবি, আলোচনার প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করায় সর্বাত্মক অভিযানে যেতে বাধ্য হয়েছে তারা।
তালেবান মুখপাত্র জাবিউল্লাহ্ মুজাহিদ আরও বলেন, প্রতিরোধ বাহিনীর সাথে আমরা আর কোনো আলোচনায় বসবো না। কারণ এর আগে আমরা বহুবার তাদের আলোচনার প্রস্তাব দিয়েছিলাম। কিন্তু তারা আমাদের কথা কানেই তোলেনি।
পানশির জয়ের ফলে পুরো আফগানিস্তানই এখন তালেবানের নিয়ন্ত্রণে। গোষ্ঠিটি বলছে, এখন দ্রুতই সরকার গঠন করা হবে। সর্বোচ্চ নেতা হিবাতুল্লাহ আখুনজাদার নেতৃত্বে সরকার কাঠামোর রূপরেখাও দিয়েছে তারা।
সরকার গঠন প্রসঙ্গে জাবিউল্লাহ্ মুজাহিদ বলেন, সর্বোচ্চ নেতাদের অধীনেই পুরো সরকার ব্যবস্থা পরিচালিত হবে। যেকোনো ইস্যুতে কাউন্সিল সিদ্ধান্ত নেবে। তবে যেকোনো ব্যাপারে সমন্বিত পরামর্শ গ্রহণ করা হবে। কারণ আমরা চাই সবাইকে সাথে নিয়ে সরকার পরিচালনা করতে।
আর আফগানিস্তানের উন্নয়নে যেকোনো দেশকে বিনিয়োগের সুযোগ দেয়া হবে বলেও জানিয়েছে তালেবান।
/এসএইচ
Leave a reply