পাঁচ ম্যাচ সিরিজের ৪র্থ টেস্টে স্বাগতিকদের ১৫৭ রানে হারিয়ে সিরিজে ২-১ ব্যবধানে এগিয়ে গেলো কোহলির দল। শেষ দিনের শেষ সেশনে ইংলিশদের ২১০ রানে অল আউট করে জয় নিশ্চিত করে ভারত।
৪র্থ ইনিংসে ইংল্যান্ডকে জয়ের জন্য ৩৬৮ রানের লক্ষ্য দেয় টিম ইন্ডিয়া। আগের দিনই কোনো উইকেট না হারিয়ে ৭৭ রান করে ফেলেন দুই ওপেনার রোরি বার্নস আর হাসিব হামিদ। এরপর ৫ম দিনের শুরুতে দুজনই হাফ-সেঞ্চুরি তুলে জয়ের সম্ভাবনা তৈরি করেন। তবে দলীয় ১০০ রানে বার্নস ৫০ করে আউট হলে মড়ক লাগে ইংল্যান্ডের ইনিংসে। হাসিব হামিদ ৬৩ রান করে আউট হবার পর অধিনায়ক জো রুট ছাড়া আর কেউই ভারতীয় বোলারদের খেলতে পারেনি।
জাসপ্রিত বুমরা এদিন ছিলেন ভয়ঙ্কর। নিষ্প্রাণ উইকেটে ঘণ্টায় ১৪০ কিলোমিটার গতিতে ছুড়তে থাকেন একের পর আগুনে গোলা। অলিভার পোপ ও জনি বেয়ারস্টোকে গতি ও রিভার্স সুইংয়ে পরাস্ত করে সরাসরি বোল্ড করেন বুমরা। উমেশ যাদব, শার্দুল ঠাকুর, সিরাজরাও দেন যোগ্য সঙ্গ। পেস ইউনিটে একে অপরকে সাহায্য করার এমন নিদর্শন ছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজের ইতিহাসখ্যাত পেস কোয়ার্টেটের মাঝে, যেখানে বলেছিলেন, তারা একজন আরেকজনকে সাহায্য করে গেছেন। তাই অ্যান্ডি রবার্টসন, ম্যালকম মার্শালরা ২-৩ উইকেট করে পেতেন। সবার তাই গড়ে ৩০০ এর মতো টেস্ট উইকেট ছিল। কিন্তু কারোরই অনেক বেশি ছিল না।
দিনের ২য় সেশনেই ৬ উইকেট হারিয়ে ম্যাচ থেকে ছিটকে যায় ইংলিশরা। উমেশ যাদবের ৩ আর বুমরাহ-শার্দুল-জাদেজাদের ২ উইকেট করে শিকারে ২১০ রানে অলআউট হয় তারা।
প্রথম ইনিংসে ভারতের করা ১৯১ রানের জবাবে ২৯০ রান করে ইংল্যান্ড। এরপর ২য় ইনিংসে ৪৬৬ রান করে ইংলিশদের ৩৬৮ রানের জয়ের লক্ষ্য দেয় কোহলির দল।
Leave a reply