ঘোমটা বা হিজাব খুলে নারীদের পোষাক পরিধানের রীতি-নীতি বিষয়ে রাষ্ট্রীয় বাধ্যবাধকতার প্রতিবাদ করায় ইরানের একটি আদালত এক নারীকে দুই বছরের কারাদণ্ড দিয়েছে। তবে তার নাম পরিচয় প্রকাশ করেনি ইরানি কর্তৃপক্ষ।
দেশটির সংবাদ মাধ্যম তাসনিম বুধবার এ তথ্য জানায়। আদালতের কৌঁসুলি আব্বাস জাফারি দৌলতাবাদি বলেন, “ওই নারী তেহরানের রাস্তায় তার হিজাব খুলে ফেলেছিল। এর মাধ্যমে সে নৈতিক দুর্নীতিকে উৎসাহিত করছে।”
তবে ওই নারী এই রায়ের বিপক্ষে আপিল করতে পারবেন বলে জানিয়েছেন কৌঁসুলি দৌলতাবাদি।
গত ডিসেম্বর থেকে এই অবধি জন সম্মুখে ঘোমটা খুলে ইরানের বিদ্যমান আইন লঙ্ঘন করেছেন, এমন ৩০ জনের অধিক নারীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এদের মধ্যে বেশির ভাগ নারীকে ছেড়ে দিলেও অনেকের সাজা হয়েছে।
১৯৭৯ সাল থেকে ইরানের আইন অনুসারে, ইরানি বা বিদেশি কিংবা মুসলিম বা অসমুসলিম অর্থাৎ জাতি-ধর্ম নির্বিশেষে সকল নারীকে দেশটিতে জন সমাগম স্থলে চলাচলে ঘোমটা পরা বাধ্যতামূলক।
ঘোমটার ভেতর থেকে কোনো নারীর চুল দেখা গেলে সাধারণত অনধিক দুই মাসের কারাদণ্ড, এবং ২৫ ডলারের জরিমানা করা হয়ে থাকে।
I
কিন্তু দুই দশকে ইরানের নৈতিক পুলিশিং কার্যক্রমে শিথিলতা এসেছে। রাজধানী তেহরান ও বড় বড় শহরগুলোতে নারীদের নিয়ম রক্ষা নির্ভর ঘোমটা পরে চলাচল করতে দেখা যায়। তেহরানে গাড়ি চালানো অবস্থায় প্রায়ই নারীদের ঘোমটা কাধে খসে পড়তে দেখা যায়।
তবে গাড়ি চালানো অবস্থায় ঘোমটা খসে পড়ার বিষয়টি মানতে নারাজ দৌলতাবাদি। তিনি বলেন, “তিনি আরও এ ধরনের আচরণ মানতে নারাজ।” তিনি এ ধরনের নারীদের গাড়ি আটকের নির্দেশ দিয়েছেন বলে জানা গেছে।
গত মাসে দেশটির পুলিশ হুশিয়ার করে দিয়ে বলেছে, জন সম্মুখে বাধ্যতামূলক ঘোমটা খুললে এক দশকের কারাদণ্ড বরণ করতে হতে পারে।
যমুনা অনলাইন: এফএইচ
Leave a reply