দেশের সব কারাগারে বায়োমেট্রিক পদ্ধতি চালু করতে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্টে।
বৃহস্পতিবার (৯ সেপ্টেম্বর) বিচারপতি ইনায়েতুর রহিম ও মোস্তাফিজুর রহমানের দ্বৈত বেঞ্চ এ নির্দেশ দেন। এর আগে নাশকতার অভিযোগে রাজধানীর খিলগাঁও থানার এক মামলায় প্রকৃত আসামি মোদাচ্ছের আনছারীর পরিবর্তে মো. জহির উদ্দিনকে আসামি করার ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় আদালত নাশকতার মামলায় ভুলে জহির উদ্দিনকে আসামি করায় তার বিরুদ্ধে জারি করা গ্ৰেফতারি পরোয়ানাকে অবৈধ ঘোষণা করেছেন। এরই জেরে এমন সিদ্ধান্ত আদালতের।
এসময় আদালত সকল থানা ও পুলিশ ম্যানেজমেন্ট সিস্টেমেও ধীরে ধীরে যেন বায়োমেট্রিক পদ্ধতি চালুর নির্দেশ দেন। এনালগ থাকার কারণে এ ধরনের ভুল হচ্ছে বলেও মন্তব্য করেন আদালত।
গত ৩ বছরে এমন ৩২টি ঘটনা ঘটেছে।
উল্লেখ্য রাজধানীর খিলগাঁও থানায় ২০১৩ সালের ৯ এপ্রিল দায়ের হওয়া মামলায় পুলিশ মোদাচ্ছের আনছারীকে গ্রেফতার করে। আটক হবার পর মোদাচ্ছের তার নাম-ঠিকানা গোপন করে নিজেকে মোহাম্মদ জহির উদ্দিন নামে পরিচয় দেয়। এরপর ওই বছরের ৩১ অক্টোবর মোদাচ্ছের জামিনে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে মুক্তি পেয়ে পালিয়ে যায়। পুলিশ তদন্ত শেষে জহির উদ্দিনসহ অন্যান্য আসামিদের বিরুদ্ধে ২০১৪ সালের ৮ এপ্রিল অভিযোগপত্র দেয়। ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালত ২০১৭ সালের ১১ অক্টোবর জহিরের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করে। পরে জহির উদ্দিন তার বিরুদ্ধে জারি করা গ্রেফতারি পরোয়ানার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে রিট আবেদন করেন।
Leave a reply