করোনামাহারির সময়ে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান না খোলা ও শিক্ষক- শিক্ষার্থী এবং অভিভাবকদের নানা দিক বিবেচনা করে শিক্ষা মন্ত্রণালয়কে লিগ্যাল নোটিশ পাঠিয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের এক আইনজীবী।
আজ বৃহস্পতিবার( ৯ সেপ্টেম্বর) বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের এ্যাডভোকেট খন্দকার হাসান শাহরিয়ার প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়, শিক্ষা মন্ত্রণালয়, কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগ, প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর ও কারিগরি শিক্ষা অধিদফতর বরাবর লিগ্যাল নোটিশ পাঠান।
উক্ত নোটিশে তিনি উল্লেখ করেন, দেশে করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হলে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান না খোলার জন্য। একজন সচেতন অভিভাবক হিসেবে তিনি শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের এই সিদ্ধান্তটি পুনঃবিবেচনা করার জন্য বলেছেন।
তিনি বলেন, করােনা সংক্রমণ ৫ শতাংশের নীচে না এলে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান না খােলার পরামর্শ দিয়েছে কোভিড সংক্রান্ত জাতীয় পরামর্শক কমিটি। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাও অনুরূপ মতামত দিয়েছে। অথচ সেই পরামর্শ বিবেচনা না করেই শিক্ষা মন্ত্রণালয় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খােলার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। যা বর্তমান করােনা মহামারী পরিস্থিতিতে সকল শিক্ষার্থীবৃন্দ ও অভিভাবকবৃন্দদের মনে ব্যাপক ভীতি সৃষ্টি করেছে। তাই সিদ্ধান্তটি পুর্নবিবেচনা করা একান্তভাবে প্রয়ােজন।
তিনি আরো উল্লেখ করেন, আমাদের বেশিরভাগ ক্লাস রুমগুলাে ছােট। ছেলে -মেয়েদের জন্য পর্যাপ্ত পরিষ্কার টয়লেট নেই এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলাের স্থানের স্বল্পতাও আছে। ফলে করােনাকালীন সময়ে সামাজিক দূরত্ব রক্ষা করে স্বাস্থ্যবিধি মেনে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলাে পরিচালনা করা কষ্টসাধ্য।
শিক্ষা প্রতিষ্ঠান চালু করা হলে প্রতিটি শিক্ষার্থীর সাথে অভিভাবকরাও যাবেন আর তার ফলে অনেক জনসমাগমের সৃষ্টি হবে। আর শতভাগ ভ্যাকসিনও দেয়া হয়নি। তারজন্য শিক্ষার্থী সহ সকলেই অনেক ঝুঁকির ভিতরে থাকবে।
দীর্ঘদিন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় শিক্ষার্থীদের পড়াশোনাও অনেক ব্যাহত হয়েছে। পিএসসি, জেএসসি পরীক্ষাগুলাে বাতিলের জন্য সুশীল সমাজের পক্ষ থেকেও একাধিকবার দাবী তােলা হয়েছে।
এই পরিস্থিতিতে তিনি করোনা মহামারি নির্মূল না হওয়া পর্যন্ত প্রথম থেকে অষ্টম শ্রেনী পর্যন্ত অনলাইনে নিয়মিত পাঠদানের পাশাপাশি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান যদি একান্তই খুলতে হয়, তবে সপ্তাহে একদিন সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে স্বশরীরে পাঠদানের ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য অনুরোধ জানিয়েছেন।
একই সাথে জানুয়ারি ২০২২ সাল থেকে নতুন সিলেবাসের আলােকে প্রথম থেকে দ্বাদশ শ্রেনী পর্যন্ত পাঠদান কার্যক্রম পরিচালনার ব্যবস্থা গ্রহন করার অনুরোধ জানিয়েছেন। এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খােলার কারনে যদি কোনো শিক্ষার্থী, অভিভাবক, শিক্ষক- শিক্ষিকা কিংবা কর্মকর্তা কর্মচারী করােনায় আক্রান্ত হয় তাহলে সরকারের পক্ষ থেকে বিনামূল্যে চিকিৎসার ব্যবস্থা গ্রহন এবং কোন প্রাণহানির ঘটনা ঘটলে উপযুক্ত ক্ষতিপূরণ প্রদানসহ উক্ত পরিবারের সম্পূর্ণ দায়িত্ব সরকারকে বহন করার অনুরোধ জানিয়েছেন।
Leave a reply