করোনা সংকট কাটিয়ে প্রায় দেড় বছর পর খুলছে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। এ নিয়ে সরাদেশেই চলছে উৎসাহ উদ্দীপনা ও নানা প্রস্ততি। কিন্তু বন্যার পানিতে নিমজ্জিত হওয়ায় স্কুল খোলা নিয়ে অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে মানিকগঞ্জের দেড় শতাধিক সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে। এর ফলে শিক্ষক, অভিভাবক ও শিক্ষার্থীদের মধ্যে দেখা দিয়েছে হতাশা। পানি না কমা পর্যন্ত এসব প্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থীদের ফেরানো সম্ভব নয় বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
স্কুলের আঙ্গিনায় চলছে, নৌকা। কচুরিপানা আর ময়লা-আবর্জনায় পরিপূর্ণ। পানিতে তলিয়ে গেছে, টিউবওয়েল ও টয়লেট। মানিকগঞ্জ শিবালয়ের বেলতা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের চিত্র এখন এমনই। পাশে ঘিওরের গোয়ালজান সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়েরও একই অবস্থা। স্কুল প্রাঙ্গনে কোমর পানি, তলিয়ে আছে রাস্তা-ঘাট। ফলে শিক্ষকরা নৌকা চালিয়ে স্কুলে আসলেও, শিক্ষার্থীদের ক্লাসে ফেরা নিয়ে দেখা দিয়েছে অনিশ্চিয়তা। চারিদিকে পানি থাকায় শিশুদের স্কুলে পাঠানো নিরাপদও মনে করছেন না অনেকে।
প্রায় দেড় বছর পর খুলছে স্কুল। শিশুরা তাই তেদখতে এসেছে তাদের স্কুলের হাল। ক্লাসরুম থেকে পানি নামলেও, আঙিনাসহ স্কুলের চারপাশেই পানি। স্কুলের পরিস্থিতি দেখতে আসা শিশুরা জানালো, আনন্দের বদলে তাদের মধ্যে দেখা দিয়েছে হতাশা।
মানিকগঞ্জ জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা তাপস কুমার অধিকারী জানালেন, এ বছর জেলার দেড় শতাধিক সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ঢুকেছে বন্যার পানি। যেসব প্রতিষ্ঠানের ক্লাসরুমে পানি ঢোকেনি সেখানে স্কুল কার্যক্রম শুরু করা গেলেও, যেসব ক্লাসরুমে পানি ঢুকেছে, সেসব জায়গায় সম্ভব হবে না ক্লাস নেয়া।
প্রাথমিকের মতো মাধ্যমিক পর্যায়েরও কয়েকটি স্কুলেও ঢুকেছে বন্যার পানি। তাই ১২ সেপ্টেম্বর থেকে চালু হচ্ছে না এসব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানও।
Leave a reply