হার্ট অ্যাটাক মানুষের জন্য সবচেয়ে গুরুতর সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। ভোরে ঘুম থেকে উঠেই হার্ট অ্যাটাকে মারা যাওয়ার খবর প্রায়ই শোনা যায়। এমনকি তরুণ প্রজন্মও এমন হার্ট অ্যাটাকের শিকার হচ্ছেন।
রাতে ঘুমোনোর ফলে মানুষের শরীরে অক্সিজেন, রক্তের প্রবাহে অনেক পরিবর্তন আসে। যখন আমাদের হৃদপিণ্ডে বা হার্টে রক্তচলাচল বাধাপ্রাপ্ত হয় তখনই হার্ট অ্যাটাক হয়। আমাদের শরীরের যে ধমনি, যার মধ্য দিয়ে রক্ত হৃদপিণ্ডে পৌঁছে সেই ধমনি যদি রক্ত চলাচলে বাধাপ্রাপ্ত হয় তখন হার্ট অ্যাটাক হতে পারে।
বাথরুমে হার্ট অ্যাটাকের কারণ কী?
সকালে পেট পুরোপুরি পরিষ্কার করার জন্য বাথারুমে চাপ প্রয়োগ করি। অনেকেই আছেন যারা কোষ্ঠকাঠিন্যে ভুগছে। মেডিকেলের ভাষায় একে বলে ভালসালভা মানেউবের ( Valsalva Maneuver)। মলত্যাগের এই চাপটি আমাদের হৃদয়ের ধমনীতে আরও চাপ সৃষ্টি করে। এটি হার্ট অ্যাটাক বা কার্ডিয়াক অ্যারেস্টের কারণ হতে পারে।
বাথরুমেই অ্যাটাক হয় কেন?
অনেকেই আছেন যারা উচ্চ রক্ত চাপে ভুগছেন। তাদের ক্ষেত্রে গোসলের সময় পানির তাপমাত্রা মেপে গোসল করা উচিত। গোসলের সময় হঠাৎ ঠান্ডা পানির সংস্পর্শে এলে সিম্পেথেটিক টোন বেড়ে যায় ফলে স্কিন বা ত্বকে এর তাপমাত্রা কমে যায়। ফলশ্রুতিতে রক্তচাপ বেড়ে যায়।
চিকিৎসকরা বলেন, যাদের উচ্চরক্তচাপ আছে তাদের কুসুম গরম পানিতে গোসল করা উচিত। মনে রাখতে হবে, কোনোভাবেই বিছানা থেকে তাড়াহুড়ো করে বাথরুমে যাওয়া যাবে না।
গোসলের নিয়ম
১. প্রথমে পায়ের পাতা ভেজাতে হবে। এরপর আস্তে উপর দিকে কাঁধ পর্যন্ত ভেজাতে হবে।
২. তারপর মুখে পানি দিতে হবে।
৩. সবার শেষে মাথায় পানি ঢালা উচিত।
৪. এই পদ্ধতি যাদের উচ্চ রক্তচাপ, উচ্চ কোলেস্টেরল এবং মাইগ্রেন আছে তাদের অবশ্যই পালন করা উচিত।
৫. গোসলের সময় দীর্ঘক্ষণ যদি বাথটবে থাকেন তবে এটি আপনার ধমনীতেও প্রভাব ফেলতে পারে। এমন পরিস্থিতিতে বেশিসময় বাথটাবে বসে থাকবেন না।
হার্ট অ্যাটাক প্রতিরোধের উপায়
টয়লেট ব্যবহারের সময় বেশিক্ষণ বসে থাকবেন না। এইভাবে আপনি হার্ট অ্যাটাক বা কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট এড়াতে পারবেন।
বাথরুমে গোসলের সময় পানির তাপমাত্রার দিকে লক্ষ্য করুন। প্রথমে পায়ের তলা ভিজিয়ে রাখুন। এরপরে মাথায় হালকা পানি ঢালুন।
ঘুম থেকে উঠে ৩০ সেকেন্ড বিছানায় বসে থাকুন। এরপর ৩০ সেকেন্ড খাটে বসে মাটিতে পা দিয়ে বসে থাকুন। এতে শরীরে রক্ত প্রবাহ স্বাভাবিক হবে। হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকিও থাকবে না।
Leave a reply