স্কুলে যাওয়া হলো না আবিরের

|

করোনার দীর্ঘ বিরতির পর নতুন করে স্কুল জীবন শুরুর আগের রাতেই জীবন প্রদীপ নিভে গেল আবির হোসেনের। স্কুল শুরু হচ্ছে, তাই উত্তরার শাহীন স্কুল এন্ড কলেজের দশম শ্রেণির ছাত্র আবির উঠেছিল স্কুলের হোস্টেলে। শনিবার (১১ সেপ্টেম্বর) বিকেলে হোস্টেলের জানালার সাথে গলায় গামছা বাঁধা অবস্থায় পাওয়া যায় তাকে।

নবাবগঞ্জ নিবাসী ফজলুর রহমান ও আবেদা সুলতানার ছেলে আবির হোসেন। শাহীন স্কুল এন্ড কলেজের উত্তরা শাখায় দশম শ্রেণির ব্যবসায় শিক্ষা বিভাগের ছাত্র। দীর্ঘ বিরতির পর স্কুল শুরু হচ্ছে, তাই একদিন আগেই বাবা ফজলুর রহমান তাকে রেখে যান স্কুলের হোস্টেলে। আবিরসহ গোটা হোস্টেলে ছিল মাত্র ২ জন শিক্ষার্থী। বাবা-মার সাথে কথা বলতে চাইলেও সারাদিন মোবাইল দেয়া হয়নি তাকে। এমনকি আত্মহত্যার ইঙ্গিত দেয়ার পরেও অভিভাবকের সাথে যোগাযোগ করেনি স্কুল কর্তৃপক্ষ।

আবিরের মা আবেদা সুলতানা খান বলেন, আগামী সপ্তাহে তাকে দেখতে যাওয়ার কথা ছিল তার। কিন্তু এটাই যে শেষ দেখা হবে ছেলের সাথে, তিনি ভাবতেও পারেননি।

বিকেলে জানালার গ্রিলে গামছায় গলা বাঁধা অবস্থায় জীবিত উদ্ধার করলেও তাৎক্ষণিকভাবে হাসপাতালে নেয়া হয়নি আবিরকে। নিজেরাই তার মাথায় পানি ঢালতে শুরু করে স্কুলের লোকজন। পরে অবস্থা আশঙ্কাজনক হলে উত্তরা আধুনিক হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। শাহীন স্কুল এন্ড কলেজের (বালিকা শাখা) পরিচালক বকুল মিঞা বলেন, আসার সাথে সাথেই মারা গেলো আবির, তবে ঠিক কী কারণে, তা তিনি স্পষ্ট করে বলতে পারছেন না। আবিরের সাথে তার কথা হয়নি বলেও জানান তিনি।

উত্তরা পশ্চিম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শাহ মো. আখতারুজ্জামান বলেন, গলায় ফাঁসের কিছু চিহ্ন তারা দেখতে পেয়েছেন। প্রাথমিকভাবে আত্মহত্যা মনে হলেও ময়না তদন্তের রিপোর্টের জন্য অপেক্ষা করছেন তারা। এ ব্যাপারে একটি অপমৃত্যুর মামলা নেয়া হয়েছে বলেও জানান তিনি।

শাহীন স্কুলের হোস্টেলে থাকা ৬ষ্ঠ শ্রেণির আরেক শিক্ষার্থীর খোঁজ নিতে গেলে দরজা খোলেনি কেউ।


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply