বেনাপোল ও পেট্রাপোল বন্দরে শক্তিশালী একটি সিন্ডিকেটে গড়ে উঠেছে। রাজস্ব ফাঁকি দিতে আমদানিকৃত পণ্যের আড়ালে অবৈধভাবে মালামাল আনছে চক্রটি। কাস্টমস হাউজের অভিযানে ধরাও পড়েছে এমন বেশ কিছু চালান। উদ্বিগ্ন সাধারণ ব্যবসায়ীরা। আমদানিতে সর্বোচ্চ নিরাপত্তা নিশ্চিতের কথা জানিয়েছে বন্দর কর্তৃপক্ষ।
গোপন খবরের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে আমদানিকৃত পণ্যের আড়ালে অবৈধভাবে আনা মালামাল জব্দ করে কাস্টমস কর্তৃপক্ষ। গেল ৬ মাসে এমন বেশ কয়েকটি অভিযান পরিচালিত হয়েছে।
বেনাপোল কাস্টমস হাউসের ডেপুটি কমিশনার শামীমুর রহমান বলেন, বেনাপোল ও পেট্রাপোল বন্দরে একাধিক শক্তিশালী সিন্ডিকেট কাজ করে যাচ্ছে। তারা আমদানিকৃত বৈধ পণ্যের ট্রাকে অবৈধভাবে পণ্য তুলে দিচ্ছে। রাজস্ব ফাঁকি দিতে এমন চতুরতা বাড়ছে।
বেনাপোল বন্দর কর্তৃপক্ষের ডেপুটি ডিরেক্টর আব্দুল জলিল জানান, বন্দরে পণ্য আমদানির ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হয়। তাছাড়া বন্দর দিয়ে যেন কোনো ধরনের চোরাচালান না আসতে পারে তাও সার্বক্ষণিক তদারকি করা হয় বলেও জানান তিনি।
এছাড়া বন্দরের নিরাপত্তা ব্যবস্থার উন্নয়নে চলছে সিসিক্যামেরা বসানোর কাজও। তবে বন্দরে সিন্ডিকেট তৎপরতা বেড়ে যাওয়ায় উদ্বিগ্ন সাধারণ ব্যবসায়ীরা। জড়িতদের চিহ্নিত করে গ্রেফতারের দাবি জানান তারা।
দেশের সর্ববৃহ স্থলবন্দর বেনাপোল। শুল্ক আহরণে এই বন্দরটির ভূমিকা তাৎপর্যপূর্ণ।
Leave a reply