টানেলের মধ্যে ১০০ বছর ধরে নিখোঁজ যে রহস্যময় ট্রেন

|

১৯১১ সালে ইটালির জেনেটি নামক একটি কোম্পানি চেয়েছিল যাত্রীদের বিনা টিকেটে ট্রেনে করে ইতালি ঘোরাতে। তবে শেষপর্যন্ত আর গন্তব্যে পৌঁছানো হয়নি ট্রেনটির। মাঝপথে রহস্যজনকভাবে ট্রেনটি হঠাৎ উধাও হয়ে যায়। ১০০ বছরের বেশি সময় পার হয়ে গেলেও ট্রেনটির কোনো খোঁজ মেলেনি এখনও। এমনকি খোঁজ মেলেনি ট্রেনটির যাত্রীদেরও। বিজ্ঞানীরা অনেক অনুসন্ধান করেও পাননি ঘটনার কোনো যুক্তি বা সূত্র। এখনও বিশ্বজুড়ে এই ভৌতিক ট্রেনটি নিয়ে আলোচনা হয়। তবে আধুনিকমনা অনেকেই বিশ্বাস করেন না ভূতুড়ে এই ঘটনাটি।

ট্রেনটি মূলত যাত্রীদের নিয়ে ইতালির বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে বেড়াচ্ছিল। যাত্রাপথে একটি টানেল পড়েছিল। ট্রেনটি সেই সুরঙ্গে ঢুকেছিল ঠিকই, তবে সেটি আর বাইরে বের হয়নি। পরে ট্রেনটির সন্ধানে অনেকেই টানেলটির ভেতরে গিয়েছেন, কিন্তু হারানো ট্রেনটির কোনো হদিস পায়নি কেউই। যদিও পাহাড়ের ভেতর দিয়ে তৈরি ওই সুরঙ্গের ভেতর অন্য কোনো রাস্তাও ছিল না। এমনকি বিভিন্ন অনুসন্ধানে টানেলটির ভেতর কোনো দুর্ঘটনারও প্রমাণ পাওয়া যায়নি।

অবশ্য কেউ কেউ বলেন, ট্রেনটির ১০৬ জন যাত্রীর মধ্যে দুজনকে পরে উদ্ধার করা গেছে। তবে তাদের কাছ থেকে কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি বলেও কথিত রয়েছে। তারা শুধু জানিয়েছিল, প্রচণ্ড ধোঁয়া দেখে তারা ট্রেনটি থেকে লাফিয়ে পড়েছিলেন।

এই ঘটনাটি নিয়ে অনেক অদ্ভুত রহস্যময় কাহিনি প্রচলিত রয়েছে। বলা হয়, ১৮৪০ সালে, অর্থাৎ ট্রেনটি নিখোঁজ হওয়ার ৭০ বছর আগে মেক্সিকোর এক ডাক্তার নাকি ১০৪ জন লোককে রহস্যময়ভাবে উদ্ধার করে চিকিৎসা দিয়েছিলেন।

প্রথম বিশ্বযুদ্ধের সময় বোমা পড়ে সুরঙ্গটির প্রবেশমুখ বন্ধ হয়ে যাওয়ার পর অনুসন্ধানও বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। আর বন্ধ সুড়ঙ্গের ভেতেই বন্দি হয়ে রয়ে গেছে ভূতুড়ে ট্রেনটির রহস্য।


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply