কবে চালু হবে, কী থাকছে নতুন শিক্ষাব্যবস্থায়?

|

পরিবর্তিত সিলেবাসের পাইলটিং শুরু হবে আগামী জানুয়ারি থেকেই। এজন্য গ্রাম ও শহরের একশো স্কুল নির্ধারণ করা হবে। এই নিরীক্ষার ফলাফলের ভিত্তিতে ২০২৩ সাল থেকে শুরু হবে আনুষ্ঠানিক পরিবর্তন। শিক্ষা বিভাগের এই পরিবর্তন পরিকল্পনাকে স্বাগত জানিয়েছেন শিক্ষাবিদরা। তবে বাস্তবায়নে সজাগ থাকার পরামর্শ তাদের। মাউশির মহাপরিচালক জানিয়েছেন, আন্তর্জাতিক মানদন্ডে মানোন্নয়নই মূল লক্ষ্য।

শিক্ষাব্যবস্থার এই পরিবর্তনে তৃতীয় শ্রেণি পর্যন্ত থাকছে না বার্ষিক পরীক্ষা কিংবা রোল নম্বর। ভর্তির আইডি নম্বরই শিক্ষার্থীর পরিচয়। থাকবে না পঞ্চম বা অষ্টম শ্রেণির বোর্ড পরীক্ষাও। দশম শ্রেণি পর্যন্ত একই বিভাগে পড়বে সব শিক্ষার্থী। পরীক্ষামূলক পাঠ্যসূচির এই পরিবর্তন শুরু হচ্ছে তিন মাস পরই।

মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা অধিদফতরের মহাপরিচালক অধ্যাপক গোলাম ফারুক জানালেন, ২০২০ সালের প্রথম ছয় মাস নতুন এই পদ্ধতি পাইলটিং করা হবে। এর ভিত্তিতে তৈরি করা হবে নতুন বই। আর ২০২৩ সাল থেকে করা হবে নতুন পদ্ধতির বাস্তবায়ন।

পশ্চিমা বিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে শিক্ষা ব্যবস্থার নতুন রূপরেখাকে স্বাগত জানিয়েছেন শিক্ষাবিদরা। তবে কেবল পদ্ধতির পরিবর্তনে সুফল পাওয়া যাবে না বলে মত তাদের। অভিযোগ করেন, আধুনিক সৃজনশীল ব্যবস্থায়ও মানোন্নয়ন করা যায়নি। সুফল পেতে অভিজ্ঞ ও দক্ষদের মাধ্যমে পাঠক্রম তৈরি ও যাচাই-বাছাইয়ের পরামর্শ তাদের।

শিক্ষাবিদ অধ্যাপক সিদ্দিকুর রহমান এ প্রসঙ্গে মন্তব্য করেন, শিক্ষকদের ঠিকমতো প্রশিক্ষণ দিতে না পারলে এই কার্যক্রমের সুফল পাওয়া যাবে না।

মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বলেন, শিক্ষায় পরিবর্তন নতুন কিছু নয়। উন্নয়নের স্বার্থেই সৃজনশীল, পিইসি আর জেএসসি চালু করা হয়েছিলো। এবারও কোন পরীক্ষা বা গবেষণা নয়, আন্তর্জাতিক মানের সাথে তাল মিলিয়ে চলাই মূল লক্ষ্য।

মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা অধিদফতরের মহাপরিচালক বললেন, চতুর্থ শিল্পবিপ্লবকে সামনে রেখে এই শিক্ষাকার্যক্রম। এটি সফল হলেই সম্ভব হবে আন্তর্জাতিক মানের সাথে তাল মেলানো।

উল্লেখ্য, ২০০৯ সালে চালু করা হয় পিইসি ও ২০১১ সালে জেএসসি ও জেডিসি পরীক্ষা।


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply