নানা আলোচনা-সমালোচনার পর র্যাবের হাতে গ্রেফতার হলেন ইভ্যালির সিইও মোহাম্মদ রাসেল ও চেয়ারম্যান শামীমা নাসরিন। বৃহস্পতিবার বিকেলে তাকে রাজধানীর মোহাম্মদপুরের বাসা থেকে গ্রেফতার করে র্যাব। তার বাসার ভেতরে যখন র্যাবের তল্লাশি চলছিল তখন বাইরে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বিপুল সদস্যের পাশাপাশি ভুক্তভোগী ও উৎসুক জনতা ভিড় করে। এ সময় বাসার ভেতরে কালো টি-শার্ট, জিনস্ প্যান্ট পরিহিত অবস্থায় বসে থাকতে দেখা গেছে ইভ্যালির সিইও রাসেলকে। ঘরের ভেতরেই জুতা পরে বসে থাকা রাসেলকে বেশ চিন্তিত দেখাচ্ছিল। সামনে ছিল পানির বোতল। বিকেল ৫.২০ মিনিটের দিকে তাকে বাসা থেকে বের করে আনেন র্যাব সদস্যরা। পরে তাকে র্যাবের গাড়িতে করে সেখান থেকে নিয়ে যাওয়া হয়।
এর আগে, বৃহস্পতিবার দুপুরে রাসেল-শামীমার মোহাম্মদপুরের বাসায় র্যাব অভিযান শুরু করে। বেশ কিছুদিন ধরে ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ইভ্যালির বিরুদ্ধে গ্রাহকদের অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ নিয়ে আলোচনা চলছে। প্রতিষ্ঠানটির বিরুদ্ধে বিক্ষোভ সমাবেশও করেছেন গ্রাহকরা।
গত বুধবার (১৫ সেপ্টেম্বর) রাতে গুলশান থানায় আরিফ বাকের নামের এক ভুক্তভোগী ইভ্যালির বিরুদ্ধে মামলার আবেদন করেন। সকালে মামলাটি রুজু হয় বলে জানান গুলশান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবুল হাসান।
মামলার আবেদনে ভুক্তভোগী জানান, গেলো জুন মাসে কয়েক দফায় পণ্যের কার্যাদেশ দিয়ে সব মূল্য পরিশোধ করা হয়। সাত থেকে ৪৫ দিনের মধ্যে পণ্য সরবরাহের কথা থাকলেও তিন মাসেও তা দেয়া হয়নি বলে অভিযোগ করেন তিনি। এ নিয়ে ই-ভ্যালি অফিসে কয়েকবার যোগাযোগ করা হলে প্রতিষ্ঠানটির শীর্ষ কর্মকর্তারা দুর্ব্যবহার করেন বলেও আবেদনে অভিযোগ করেন ভুক্তভোগী।
মামলার অভিযোগে বলা হয়, গত ৯ সেপ্টেম্বর বাকেরসহ আরও তিনজন ইভ্যালির ধানমন্ডি অফিসে যান। সেখানে তারা প্রতিষ্ঠানের নির্বাহী কর্মকর্তা রাসেলের সঙ্গে দেখা করতে চাইলে তাদেরকে বাধা দেয়া হয়। এতে ইভ্যালির অফিসে প্রতিনিধিদের সঙ্গে পণ্যের বিষয়ে কথা বলতে চাইলে তারাও বাজে ব্যবহার করেন।
এর আগে, ইভ্যালিসহ ১০টি প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়ার কথা এবং প্রতিষ্ঠানগুলোর কোনো ধরনের দায়িত্ব না নেয়ার কথা জানায় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়।
Leave a reply