‌‌চন্দ্রিমায় জিয়ার কবর না থাকার অনেক প্রমাণ আছে: প্রধানমন্ত্রী

|

চন্দ্রিমা উদ্যানে জিয়াউর রহমানের কবর নেই, এর অনেক প্রমাণ আছে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এছাড়া মুক্তিযুদ্ধে জিয়ার ভূমিকাও প্রশ্নবিদ্ধ বলে মন্তব্য করেন তিনি। জাতীয় অধিবেশনের সমাপনী বক্তব্যে এসব কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী।

বৃহস্পতিবার (১৬ সেপ্টেম্বর) জাতীয় সংসদ অধিবেশনে জিয়াউর রহমানের মুক্তিযোদ্ধা ও কবর ইস্যুতে উত্তপ্ত বিতর্কে জড়ান সরকার ও বিরোধীদলীয় সংসদ সদস্যরা। এই আলোচনার প্রেক্ষিতে এসব কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী। এছাড়া অধিবেশনের শেষ দিনে বিদ্যুৎ ও জ্বালানির দ্রুত সরবরাহ বৃদ্ধি, সংশোধন ও জাতীয় আর্কাইভ বিল পাস হয়।

মুক্তিযুদ্ধে প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ভূমিকা নিয়ে সংসদে উত্তপ্ত আলোচনায় বিরোধী দলীয় সংসদ সদস্যদের অভিযোগ, বিভ্রান্তিকর তথ্য দেয়া হয়েছে জিয়াউর রহমানের কবর নিয়ে।

বিএনপি দলীয় সংসদ সদস্য হারুন অর রশীদ বলেন, জিয়াউর রহমানের মুক্তিযোদ্ধা পদ ও তার কবর নিয়ে যে বিভ্রান্তি ছড়ানো হচ্ছে তা এক্সপাঞ্জ করতে হবে।

বিএনপি দলীয় হুইপ ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানা বলেন, সংসদে বিরোধী দলের আলোচনা শুনতেও যাদের এতো অনীহা তারা কী ইতিহাস লিখবে, আর তাদের লেখা ইতিহাসের আর্কাইভে কী জমা হবে?

পয়েন্ট অফ অর্ডারে এর জবাবে সরকার দলীয় সংসদ সদস্য শেখ সেলিম বলেন, লাশ নিয়ে আর রাজনীতি করবেন না। ওখানে কোনো লাশ নাই। শুধু একটা বাক্সই কবর দেয়া হয়েছে। লাশ থাকলে তা প্রমাণ করারও দাবি করেন তিনি।

সমপনী বক্তব্যে বিরোধী দলের সংসদ সদস্যদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন সংসদ নেতা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এসময় জিয়াউর রহমান মুক্তিযুদ্ধে নিজেদের মানুষকে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দিয়েছেন বলে মন্তব্য করেন তিনি।

মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস বিকৃতি নিয়ে বিএনপি জামায়াতের সমালোচনা করেন প্রধানমন্ত্রী। বলেন, সংসদ প্রাঙ্গনের কবরে জিয়ার লাশ নাই তার অনেক প্রমাণও আছে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদ কারও পরামর্শে একটি খালি বাক্স সাজিয়ে গুছিয়ে কবর দেন। এরশাদ সাহেব এসব ব্যাপারে পারদর্শী বলেও মন্তব্য করেন প্রধানমন্ত্রী। একসময় প্রধানমন্ত্রীর প্রশ্নের জবাবে এরশাদ তাকে এমনও বলেছেন যে, বোন, লাশ পাবো কোথায়?

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ৭৫’র পর ষড়যন্ত্র, ক্যু আর হত্যার রাজনীতি করেছেন জিয়াউর রহমান। যুদ্ধাপরাধী আর বঙ্গবন্ধুর খুনীদের ক্ষমতায় এনেছে তারা। তাদের কাছে কাছে মানবাধিকারের কথা শুনতে হয়। আমার পরিবারের হত্যার ব্যাপারে মামলাও করতে দেয়নি তারা। এখন তারা আইনের শাসনের কথা বলছে।

সমাপনী বক্তব্যে বিরোধী দলের উপনেতা জিএম কাদের রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে আরও জোরদার পদক্ষেপ নেয়ার আহ্বান জানান।

১ সেপ্টেম্বর শুরু হয়ে সাত কর্মদিবস পর শেষ হয় চলতি সংসদ অধিবেশন।


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply