ভারতের আলোচিত নওমুসলিম তরুণী হাদিয়া জাহান বলেছেন, আমি ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেছি বলেই আমার সাথে এমন আচরণ করা হয়েছে। আজ শনিবার স্বামীকে নিয়ে গ্রামের বাড়ি কেরালা রাজ্যে পৌঁছার পর সাংবাদিকদের কাছে এ কথা বলেন এই মেডিকেল শিক্ষার্থী।
তিনি আরও বলেন, ‘সংবিধান আমাকে অধিকার দিয়েছে নিজের ইচ্ছায় যে কোনো ধর্মকে গ্রহণ করার। অথচ আমি ইসলাম গ্রহণের কারণে আমার সাথে অনেক কিছু ঘটে গেল।’ তবে দেশটির সর্বোচ্চ আদালতে তিনি নিজের অধিকার পাওয়ায় সন্তুষ্টি প্রকাশ করে বলেন, ‘আদালতের রায়ের পর মনে হচ্ছে আমাদের অধিকার ফিরে পেয়েছি।’
২৫ বছর বয়সী মেডিকেল ছাত্রী আকিলা আশোকান হিন্দু ধর্মাবলম্বী ছিলেন। পরে মুসলিম ছাত্র শাফিন জাহানের সাথে পরিচয় ও নিজ ইচ্ছায় তাকে বিয়ে করেন। বিয়ের আগে ইসলাম ধর্মে দীক্ষিত হয়ে হাদিয়া নাম গ্রহণ করেন তিনি।
ঘটনা জানতে পেরে হাদিয়ার পরিবারের পক্ষ থেকে ‘লাভ জিহাদ’ এর অভিযোগ তোলা হয় শাফিনের বিরুদ্ধে। সে অনুযায়ী কেরালার একটি নিন্ম আদালত গত বছরই রায় দেয় যে, তরুণীকে ‘মগজধোলাই’ করে ধর্মান্তরিত ও বিয়ে করার কারণে এটি বৈধতা নেই।
বিষয়টি নিয়ে গত কয়েক মাস ধরে ভারতে সাম্প্রদায়িক উত্তেজনা চলছিল। উগ্রপন্থি হিন্দুত্ববাদীরা বিয়েটিকে ‘লাভ জিহাদ’ হিসেবে অভিহিত করে প্রচারণা চালায় এবং এটি বাতিলের দাবি জানায়।
সর্বশেষ গত নভেম্বরে কেরালা রাজ্যের উচ্চ আদালত বিয়েকে বৈধ ঘোসণা করে রায় দেয়। এর বিরুদ্ধে হাদিয়ার বাবা-মা দেশের সর্বোচ্চ আদালতে আপিল করলে গত ৮ মার্চ তাদের বিয়েকে বৈধ ঘোষণা করে ভারতের সুপ্রিম কোর্ট।
Leave a reply