ইভ্যালির সিইও মোহাম্মদ রাসেলের মুক্তির দাবিতে আদালতের সামনে মিছিলের সময় একজনকে আটক করেছে পুলিশ।
শুক্রবার (১৭ সেপ্টেম্বর) দুপুরে রাজধানীর মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে নেয়া হয় রাসেল ও তার স্ত্রীকে। সেখানেই বিক্ষোভ করেন ইভ্যালির কয়েকজন গ্রাহক। এদিক পুলিশের পক্ষ থেকে রাসেল ও তার স্ত্রীকে ১০ দিনের রিমান্ডে পাঠানোর আবেদন করা হয়েছে।
এর আগে আজ সকালে রাসেল ও তার স্ত্রীর বিষয়ে ব্রিফিং করে র্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন। ব্রিফিং শেষে রাসেল ও তার স্ত্রীকে গুলশান থানায় হস্তান্তর করে র্যাব।
আরও পড়ুন>>> ইভ্যালি বিক্রির পরিকল্পনা ছিল রাসেলের: র্যাব
ব্রিফিংয়ে কমান্ডার খন্দকার আল মঈন জানান, দেশি বা আন্তর্জাতিক কোনো প্রতিষ্ঠানের কাছে দায়সহ প্রতিষ্ঠানটি বিক্রি অথবা দেউলিয়া ঘোষণার পরিকল্পনা ছিল ইভ্যালির সিইও রাসেলের। ইভ্যালির মাধ্যমে প্রতারণার মূল হোতা হচ্ছেন সিইও মোহাম্মদ রাসেল ও তার স্ত্রী। বেতন বাবদ ইভ্যালির খরচ পূর্বে পাঁচ কোটি টাকা থাকলেও এখন তা দেড় কোটিতে নেমে আসে। গত জুন মাস থেকে এ পর্যন্ত অনেক কর্মচারীকেই বেতন প্রদানে সক্ষম হননি রাসেল। তবে পদাধিকার বলে প্রতি মাসে ইভ্যালি থেকে পাঁচ লাখ টাকা করে বেতন গ্রহণ করতেন তিনি।
র্যাব জানিয়েছে, হাজার কোটি টাকা দেনা রয়েছে বলে প্রকাশ করেছেন রাসেল। এছাড়া কীভাবে গ্রাহকদের টাকা ফেরত দেয়া হবে সে বিষয়েও কোনো উত্তর দিতে পারেননি ইভ্যালির সিইও। এছাড়া বিদেশে পালিয়ে যাওয়া এবং টাকা পাচারের কোনো তথ্যও পাওয়া যায়নি বলে জানায় র্যাব। রাসেল বিভিন্ন দেশে গিয়েছেন কিন্তু কোথায় বিনিয়োগ করেছেন সে সম্পর্কিত কোনো তথ্য এখনও পাওয়া যায়নি। তবে অর্থপাচারসহ এসব বিষয়ে বিএফআইইউসহ সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলোর তদন্ত করার সুযোগ আছে বলে জানায় র্যাব।
বৃহস্পতিবার (১৬ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় রাসেলের মোহাম্মদপুরের বাসায় অভিযান চালিয়ে তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়। র্যাব যখন তাদের আটক করে নিয়ে যাচ্ছে তখন রাসেলের বাসার সামনে বিক্ষোভ করতে দেখা যায় ইভ্যালির গ্রাহকদের।
উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার ভোরে রাজধানীর গুলশান থানায় ইভ্যালির সিইও আর চেয়ারম্যানকে আসামি করে মামলা করেন ভুক্তভোগী আরিফ বাকের। নির্দিষ্ট সময়ের পণ্য সরবরাহ না করা ও টাকা ফেরত চাইলে হুমকি-ধমকির অভিযোগ করেন ওই বাদি।
Leave a reply