ফুঁ দিলেই আগুন! যেভাবে পুলিশের হাতে আটক ‘সাধুবাবা’

|

ফুঁ দিলেই কাগজে ধরে যায় আগুন! আয় আয় বলে ডাকলেই চলে আসে প্রসাদ, পথের মাটিও হয়ে যায় সুস্বাদু মিষ্টি। এমন কথাই সাধারণ মানুষকে বিশ্বাস করাতেন কথিত এক সাধুবাবা। মূলত মানুষকে প্রতারণার ফাঁদে ফেলে বাড়ির স্বর্ণালংকার ও টাকা পয়সা চুরি করাই তার মূল পেশা। সম্প্রতি মানিকগঞ্জে এক পরিবারের ৬ জনকে অচেতন করে মালামাল নিয়ে পালায় ওই প্রতারক বাচ্চু প্রধান। তবে, শেষ রক্ষা হয়নি।

সাধু বাবার ছদ্মবেশে নির্ধারিত এলাকায় যান প্রতারক বাচ্চু প্রধান। দেখান নানা কেরামতি। ফুঁ দিয়ে আগুন ধরিয়ে দেন কাগজে। তার ফুঁয়ে পথের মাটিও নাকি হয়ে যায় মিষ্টি। চোখের ভেলকিতে ডেকে পারেন গায়েবি প্রসাদ। তবে সরল বিশ্বাসে কেউ বাড়িতে আশ্রয় দিলেই ঘটে সর্বনাশ।

মূলত বিভিন্ন রাসায়নিকের সাহোয্যে এমন এমন ভেলকি দেখান বাচ্চু প্রধান। সুযোগ বুঝে প্রসাদের সাথে ঘুমের ওষুধ খাইয়ে লুটে নেন স্বর্ণালংকার ও টাকা পয়সা। সম্প্রতি মানিকগঞ্জ শহরের আন্ধারমানিক এলাকায় ঘটে এমন ঘটনা।

শুধু মানিকগঞ্জ নয়, দেশের বিভিন্ন স্থানে প্রতারণার মাধ্যমে চুরির এমন ঘটনা ঘটিয়েছে কথিত সাধু বাচ্চু। কিন্তু শেষ রক্ষা হয়নি তার, তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় গ্রামের বাড়ি চাঁদপুর থেকে তাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

মানিকগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) ভাস্কর সাহা জানালেন, কিছু ম্যাজিক দেখিয়ে মানুষকে প্রভাবিত করে এ ধরনের প্রতারকরা। এছাড়া আগে থেকেই একটি এলাকা সম্পর্কে কিছু তথ্য সংগ্রহ করে রাখে, পরে যা সবার সামনে বলে মানুষের বিশ্বাস অর্জন করে তারা। তাই এ ধরনের প্রতারণা থেকে বাঁচতে সচেতনতার পাশাপাশি বাড়িতে অপরিচিত কাউকে আশ্রয় দেয়ার ক্ষেত্রে আরও সতর্ক থাকার পরামর্শ পুলিশের।


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply