বিয়ে বাড়িতে ছবি তোলা নিয়ে সংঘর্ষ, গুলিবিদ্ধসহ আহত ১০

|

কুমিল্লায় বিয়ে বাড়িতে ছবি তোলাকে কেন্দ্র করে দুই গ্রামবাসীর সংঘর্ষ ১০ জন আহত হয়েছেন।

কুমিল্লা ব্যুরো:

কুমিল্লার হোমনায় বিয়ে বাড়িতে ছবি তোলাকে কেন্দ্র করে দুই গ্রামবাসীর মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে গুলিবিদ্ধসহ উভয় পক্ষের অন্তত ১০ জন আহত হয়েছেন। এ ঘটনায় এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে।

রোববার (১৯ সেপ্টেম্বর) সকালে উপজেলার ঘারমোরা বাজারে দফায় দফায় এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। বর্তমানে পরিস্থিতি পুলিশের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। হোমনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আবুল কায়েস আকন্দ ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেন।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বৃহস্পতিবার (১৬ সেপ্টেম্বর) রাতে উপজেলার বড় ঘারমোড়া গ্রামরে গিয়াস উদ্দিনের মেয়ে সুমাইয়ার গায়ে হলুদ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এক পর্যায়ে পাশের গ্রাম হুজুরকান্দির রাসেল, ইমরান ও অন্তরসহ অন্তত ৮/১০ জন যুবক অনুমতি না নিয়ে মোবাইল ফোনে কয়েকজন তরুণীর ছবি তুলতে থাকেন। এ নিয়ে বড় ঘারমোড়া গ্রামের আউয়াল মিয়াসহ কয়েকজনের সাথে বাকবিতণ্ডার এক পর্যায়ে হাতাহাতিতে রূপ নেয়।

এ ঘটনায় পর দিন শনিবার সকালে আবদুল আউয়াল বড় ঘারমোড়া গ্রামের বাজারে দুধ বিক্রি করতে গেলে হুজুরকান্দি গ্রামের ওই যুবকরা তাকে মারধর করে এবং দুধ ফেলে দেয়। এ ঘটনায় আউয়ালের ভাই জাহাঙ্গীর আলম শনিবার রাতেই হুজুরকান্দি গ্রামের ৫ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরও ১২ জনকে আসামি করে মামলা করেন। ওই মামলায় রাতেই পুলিশ হুজুরকান্দি গ্রামের বকুল নামের একজনকে গ্রেফতার করে। এ নিয়ে দুই গ্রামের লোকজনের মধ্যে উত্তেজনা বেড়ে যায়‌। রোববার সকালে উভয় পক্ষ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এতে উভয় পক্ষের অন্তত ১০ জন আহত হয়েছেন। তাদেরকে জেলার বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

আহতরা হলেন- রাজিব মিয়া, শাহ আলম, আলী আকবর, জিলানী, অজিত, সাব মিয়া, মোমেন, শাহ আলম, নজরুল মিয়া, কবির হোসেন। এদের মধ্যে রাজিব মিয়া, শাহ আলম, আলী আকবর, সাব মিয়া ও মোমেন গুরুতর আহত হয়েছেন। তাদেরকে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ (কুমেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

এ বিষয়ে ঘারমোড়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান শাহজাহান মোল্লা বলেন, গায়েহলুদ অনুষ্ঠানে বাকবিতণ্ডা ও হাতাহাতির ঘটনা মিটমাট করতে আজ (রোববার) আমরা বাজারে বসেছিলাম। সেখানে হুজুরকান্দি ও ঘারমোড়া গ্রামের লোকজন সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। পরে থানা পুলিশকে ফোন করা হলে তারা ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন।

ইউএইচ/


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply