নির্ভরযোগ্য, টেকসই ও সাশ্রয়ী মূল্যের নবায়নযোগ্য জ্বালানি উৎপাদনে সহযোগিতা করতে প্রস্তুত বাংলাদেশ। ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য একটি সুন্দর পরিবেশ নিশ্চিতের জন্যেই নিতে হবে এ উদ্যোগ। নয়াদিল্লির ‘সোলার সামিটে’ দেয়া ভাষণে এমন কথা বলেন রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ।
রাষ্ট্রপতি বলেন, সদস্য দেশগুলোর সহায়তায় নবায়নযোগ্য জ্বালানির নতুন দ্বার উন্মোচন করতে চায় বাংলাদেশ। সেক্ষেত্রে আইএসএভুক্ত দেশগুলোকে টেকসই, নির্ভরযোগ্য ও সাশ্রয়ী মূল্যে নবায়নযোগ্য জ্বালানির উৎপাদনে সহযোগিতা করতে প্রস্তুত আমরা। এরমাধ্যমে উন্নত দেশগুলোর গ্রামীণ অঞ্চলগুলো সবচেয়ে বেশি লাভবান হবে। কমবে জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবের কারণে সংঘটিত দুর্যোগও।
প্লেনারি সেশনের বক্তব্য রাষ্ট্রপতি আব্দুল হামিদ জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব ঠেকাতে নবায়নযোগ্য জ্বালানির ব্যবহার বাড়ানোর ব্যাপারে জোর দেন। তিনি বলেন, প্যারিস চুক্তির ধারা অনুযায়ী বৈশ্বিক তাপমাত্রা ২ ডিগ্রির নিচে রাখতে সৌরশক্তির ব্যবহার বাড়ানোর কোন বিকল্প নেই। বাংলাদেশের গ্রামীণ এলাকায় ৫০ লাখের বেশি মানুষ নবায়নযোগ্য জ্বালানি ব্যবহার করে উপকৃত হয়েছেন। ১০ শতাংশ জ্বালানি চাহিদা মেটায় নবায়নযোগ্য জ্বালানি- এমনটাও দাবি তার।
এদিকে আয়োজক দেশ ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, জীবাশ্ব জ্বালানির ওপর থেকে নির্ভরশীলতা কমাতে ১০ দফা কর্মপরিকল্পনা তুলে ধরেন। ২০ দেশের রাষ্ট্র ও সরকার প্রধানসহ ৪৭টি দেশের অংশগ্রহণে প্রথমবারের মতো ভারতে হচ্ছে ‘আন্তর্জাতিক সোলার সামিট’। যাতে জীবাশ্ব জ্বালানির ওপর থেকে নির্ভরশীলতা কমিয়ে নবায়নযোগ্য জ্বালানির ব্যবহার বৃদ্ধি করাই হলো মূল এজেন্ডা।
সম্মেলন থেকে ১২১টি প্রকল্প সই হওয়ার কথা। এরমধ্যে ৫০টি নয়াদিল্লির বৈঠকে স্বাক্ষরিত হলেও; বাকি ৭১টি এপ্রিলে মেক্সিকোয় অনুষ্ঠেয় সোলার সামিটে গৃহীত হবে।
Leave a reply