পটুয়াখালী প্রতিনিধি:
পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলার বালিয়াতলী এলাকায় নৌ পুলিশের মারধরে সুজন হাওলাদার নামের এক জেলের মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় উত্তেজিত জনতা পুলিশ সদস্যদের অবরুদ্ধ করে রাখার ঘটনাও ঘটে।
মঙ্গলবার (২১ সেপ্টেম্বর) দুপুরে তেতুলিয়া নদীতে কারেন্ট জাল জব্দ করার অভিযানকালে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত সুজনের পরিবারের অভিযোগ, নৌ পুলিশ সদস্য সুজনকে ধরে মারধর করায় তার মৃত্যু হয়েছে।
স্থানীয়রা জানান, নৌ পুলিশের সদস্যরা ট্রলারযোগে জেলেদের অনেকক্ষণ ধাওয়া করলে জেলেরা তাদের ট্রলারটি তীরে ভিড়িয়ে চার জন দৌড়ে পালায়। ট্রলারে থাকা সুজনকে নৌ পুলিশ ধরে ফেলে এবং মারধর করে। এক পর্যায়ে ট্রলারে রাখা জালের ওপর সুজন অচেতন হয়ে পড়ে যায়।
এদিকে খবর ছড়িয়ে যায় সুজন মারা গেছে। এতে বিক্ষুব্ধ শতাধিক মানুষ নৌ পুলিশের সদস্যদের ট্রলারসহ অবরুদ্ধ করে রাখে। অপরদিকে অচেতন সুজনকে প্রথমে স্থানীয় বাবলাতলা বাজারে নিয়ে যায় তার স্বজনরা।
পরে সেখান থেকে কলাপাড়া উপজেলা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে দায়িত্বরত চিকিৎসক সুজনকে মৃত ঘোষণা করেন।
বালিয়াতলী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এবিএম হুমায়ুন কবির জানান, স্থানীয় মানুষ
পুলিশ সদস্যদের অবরুদ্ধ করে রেখেছিল। কলাপাড়া ও মহিপুর থেকে ২০ থেকে ২৫ জন পুলিশ এসেছে। তাদের শান্ত করে নৌ-পুলিশের সদস্যদের নেয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে।
স্থানীয় বানাতিবাজার নৌ পুলিশ ফাড়ির ইনচার্জ এসআই শহিদুল ইসলাম জানান, তিনি ছুটিতে ছিলেন খবর শুনে কর্মস্থলে আসতেছেন। ঘটনাস্থলে কলাপাড়া থানা পুলিশ রয়েছে।
পটুয়াখালী পুলিশ সুপার মোহাম্মদ শহীদুল্লাহ জানান, কোন ব্যক্তির দায় পুলিশ নিবেনা। ঘটনার প্রকৃত কারণ উদঘাটনের জন্য জেলা পুলিশ ও নৌ পুলিশের পক্ষ থেকে পৃথক দু’টি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তদন্ত কমিটির রিপোর্টের পাওয়ার পর প্রয়োজনীয় ব্যবন্থা গ্রহণ করা হবে।
পুলিশ সুপার আরও জানান, স্থানীয় লোকজনের উপস্থিতির সংখ্যা ছিল বেশি। সেখানে কলাপাড়া সার্কেলসহ মহিপুর থানার ওসির নেতৃত্বে আইন শৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণের সদস্যরা রয়েছে। যদিও বিষয়টি নৌ পুলিশের, সেখানে জেলা পুলিশের কোন সদস্যদের সাথে কিছু হয়নি। তারপরেও আইন শৃঙ্খলা স্বাভাবিক রাখতে আমরা সব ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ করেছি।
Leave a reply