অনেক সময় ঘুম না পেলেও শরীর দুর্বল মনে হয়, ক্লান্তিভাব আসে। ঘুম থেকে ওঠার পর, কাজের মাঝে, শরীর যেন আর চলতে চায় না। আর অতিরিক্ত ক্লান্তিভাবের ফলে শরীর কাহিল হয়ে পড়ে। এক্ষেত্রে একটু খাওয়াদাওয়ার দিকে নজর দিলেই এই সমস্যা কমতে পারে।
এমন কিছু খাবার আছে, যেগুলি ডায়েটে অন্তর্ভুক্ত করলে ক্লান্তিভাব থেকে মুক্তি পেতে পারেন। এই খাবারগুলি আপনাকে প্রচুর পরিমাণে এনার্জি সরবরাহ করতে পারে। আসুন জেনে নেই ক্লান্তি থেকে বাঁচতে কী কী খাবার খাদ্যতালিকায় রাখা উচিত-
* মৌসুমি ফল: ডায়েটে মৌসুমি ফল অন্তর্ভুক্ত করুন। এগুলো আপনাকে প্রচুর পরিমাণে পুষ্টি সরবরাহ করবে এবং ক্লান্তির বিরুদ্ধে লড়াই করতেও সহায়তা করবে। কো-এনজাইম কিউ১০, ম্যাগনেসিয়াম, পটাশিয়াম এবং আয়রনের মতো পুষ্টি উপাদান অনেক ফলের মধ্যে পাওয়া যায়, যা আপনার শরীরকে শক্তি উৎপাদন ও সংরক্ষণে সাহায্য করবে।
* সবুজ শাকসবজি: সবুজ শাকসবজি প্রচুর পরিমাণে খাওয়া অত্যন্ত উপকারি। পালং শাক, ব্রকোলি, ক্যালে, লেটুস বা সুইস চার্ডের মতো শাকসবজি ডায়েটে অন্তর্ভুক্ত করুন। এগুলো প্রচুর ভিটামিন এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ। আপনি এই সবজি স্যুপ বা সালাদে দিয়েও খেতে পারেন।
* চিয়া সিড: চিয়া সিডকে এনার্জির ছোটখাটো পাওয়ার ব্যাংক বলা যেতে পারে, কারণ এতে স্বাস্থ্যকর চর্বি এবং ফাইবার থাকে। এই ছোট্ট বীজগুলি ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড সমৃদ্ধ, যা মস্তিষ্ক এবং হৃদযন্ত্রের কার্যকারিতার জন্য অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। এছাড়াও চিয়া সিড ম্যাগনেসিয়ামের দুর্দান্ত উৎস, যা ক্লান্তি এবং স্ট্রেসের মোকাবিলায় সাহায্য করে।
* বাদাম: প্রচুর পুষ্টিগুণে ভরপুর বাদাম দেহের শক্তি বাড়ায়। আখরোট, আমন্ড, ব্রাজিল নাটস, পিক্যান, কাজু বা হ্যাজেলনাটের মতো বাদাম আপনার রুটিন ডায়েটে অন্তর্ভুক্ত করার জন্য দুর্দান্ত। এগুলি কেবল এনার্জি বাড়াতেই সহায়তা করে না, পাশাপাশি দীর্ঘক্ষণ পেট ভরাও রাখে।
* ওটস: ওটস ফাইবারে পূর্ণ এবং প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন সরবরাহ করে। লো-ফ্যাট মিল্ক বা আমন্ড মিল্কের সঙ্গে খেতে পারেন তবে চিনি এড়িয়ে চলাই ভালো। ওটস-এর সঙ্গে ফল যোগ করতে পারেন। ওটস দীর্ঘক্ষণ পেট ভরা রাখে এবং এনার্জি সরবরাহ করে।
* মাশরুম: মাশরুম হল এনার্জির এক দুর্দান্ত উৎস। এটি প্রোটিন ও ফাইবার সমৃদ্ধ। এছাড়াও ফোলেট এবং বি-ভিটামিন, যেমন-রিবোফ্ল্যাভিন, নিয়াসিন, প্যান্টোথেনিক অ্যাসিড, ইত্যাদি প্রয়োজনীয় পুষ্টিগুলোও রয়েছে। মাশরুম ক্লান্তি দূর করতে সহায়তা করে। এগুলো সালাদের সঙ্গে, স্যান্ডউইচে বা স্ন্যাক্স হিসেবে খাওয়া যেতে পারে।
* কলা: ক্লান্তির বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য কলা অন্যতম সেরা খাবার। পটাশিয়াম, ভিটামিন এবং খনিজ সমৃদ্ধ কলা এনার্জির দুর্দান্ত উৎস। স্মুদি, মিল্কশেকে দিয়ে বা এমনিও খেতে পারেন।
এনএনআর/
Leave a reply