চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়ার রাজানগরে মাত্র ২ কিলোমিটার সড়কের বেহাল দশায় বিপাকে কৃষকরা। ক্ষেত খামারে উৎপাদিত ফসল বাজারজাতকরণ ব্যাহত হওয়ায় মিলছে না ন্যায্যমূল্য। গত বর্ষায় সড়কের অবস্থা হয়েছে আরও করুণ। পর্যাপ্ত বরাদ্দের অভাবে আটকে আছে সংস্কার কাজ।
রাঙ্গুনিয়া উপজেলার দেওয়াননগরে বিস্তীর্ণ ফসলি জমিতে উৎপাদিত হয় নানা ধরনের সবজি। যা দিয়ে জীবিকা নির্বাহ করে ফুলবাগিছা, হালিমপুর, টেকনাফ পাড়া, গাবতলা এলাকার অনেক পরিবার। নতুন করে গড়ে উঠেছে পোল্টি শিল্পও।
ক্ষেত খামারে উৎপাদিত ফসল একসময় ইছামতি নদী দিয়ে বাজারজাত করা হলেও এখন সেই নৌপথ বিলুপ্ত। ফলে ভরসা শুধু সড়ক পথ। তাও চলাচলের অযোগ্য। ফলে ব্যাহত হচ্ছে পণ্য পরিবহন। বাজারজাত করতে দেরির কারণে ন্যায্যমূল্য থেকে বঞ্চিত খামারিরা।
কৃষকরা বলছেন, এই রাস্তাটা হয়ে গেলে কৃষকরা অনেক উপকৃত হতেন। উপকৃত হতেন অন্যরাও। বলছেন, এর ফলে পরিবহনের খরচ কয়েকগুণ বেড়ে যাচ্ছে কৃষকেদের।
এই অঞ্চলে উৎপাদিত সবজি যায় দূর দূরান্তে। কিন্তু পরিবহনে দুর্ভোগ এবং লোকসানের কারণে অনেকে ছেড়ে দিয়েছেন খামার।
২০১৮ সালে কিছু সংস্কার হলেও বেশিরভাগ সড়ক পড়ে আছে অযত্ন অবহেলায়। এজন্য অপর্যাপ্ত অর্থ বরাদ্দকে দুষছেন স্থানীয় জনপ্রতিনিধি। রাঙ্গুনিয়ার রাজানগর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান শামসুল আলম তালুকদার বলছেন, তিনি দ্রুতই রাস্তাটি সংস্কারের উদ্যোগ নেয়ার চেষ্টা করবেন।
ক্ষেত খামারে উৎপাদিত ফসল বাজারজাতকরণের স্বার্থে বেহাল সড়কটি দ্রুত সংস্কারের দাবি কৃষকদের।
Leave a reply