কক্সবাজারের হোটেলে চাঞ্চল্যকর নারী হত্যার প্রধান আসামি সাগর মিজিকে গ্রেফতার করেছে র্যাব। র্যাবের দাবি, আটককৃত সাগর একজন ভয়ঙ্কর ‘সিরিয়াল ধর্ষক’। তার বিরুদ্ধে এর আগেও ধর্ষণের অভিযোগ ছিল।
শনিবার (২৬ সেপ্টেম্বর) বিকেলে কাওরানবাজারে অবস্থিত র্যাব মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা জানান র্যাব-১০ এর অধিনায়ক (সিও) অতিরিক্ত ডিআইজি মো. মাহফুজুর রহমান।
মাহফুজুর রহমান বলেন, গত ১৮ সেপ্টেম্বর সে কক্সবাজার কলাতলী এলাকার “আমারী রিসোর্ট” এর ১০৮ নম্বর রুম ভাড়া নেন এবং হোটেল কর্তৃপক্ষকে জানান যে দুই দিন পর তার স্ত্রী আসবেন। তখন তাকে একটি ডাবল রুম দিতে হবে। পরবর্তীতে ২০ সেপ্টেম্বর সাগর তার স্ত্রীর পরিচয়ে এক নারীকে নিয়ে ৪০৮ নম্বর রুমে উঠেন। পরেরদিন হোটেল কর্তৃপক্ষ সেই কক্ষে কোনো সাড়া-শব্দ না পেলে রুমের দরজা ভেঙ্গে ওই নারীর মৃতদেহ দেখতে পায়। তখন তারা পুলিশকে খবর দেয়।
খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতালে পাঠায় বলে জানা যায়। এ ঘটনায় ২২ সেপ্টেম্বর কক্সবাজার সদর থানায় একটি মামলা হয়।
সেই মামলার পরিপ্রেক্ষিতে শনিবার দুপুর পৌনে ১২টায় র্যাব-১০ এর একটি দল রাজধানীর সায়েদাবাদ বাসস্ট্যান্ড টোলপ্লাজা এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে মো. সাগর মিজিকে (২৪) গ্রেফতার করে। এ সময় তার কাছ থেকে তিনটি মোবাইল ফোন ও ১৫ হাজার টাকা জব্দ করা হয়েছে।
হত্যাকাণ্ডের বিষয়ে সাগর র্যাবকে জানায়, পূর্ব পরিচয়ের সূত্র ধরে নিহত নারীকে স্ত্রী পরিচয়ে কক্সবাজার আমারী রিসোর্টে নিয়ে যায়। রিসোর্টের ওই রুমে নিয়ে নিহত ওই নারীকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করার একপর্যায়ে তার সাথে ভুক্তভোগীর ধস্তাধস্তি শুরু হয়। ধস্তাধস্তিকালে সাগর তার গলা চেপে ধরে দেয়ালের সাথে ধাক্কা দিলে নারীটি মেঝেতে পরে যায়। পরবর্তীতে গলা টিপে ধরে পাশে থাকা গ্লাস দিয়ে মাথায় আঘাত করে ওই নারীকে হত্যা করে সে।
মাহফুজুর রহমান জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে সাগর বিভিন্ন এলাকায় একাধিক নারীকে মিথ্যা প্রেমের ফাঁদে ফেলে অনৈতিক কর্মকাণ্ডে বাধ্য করেছে বলে জানিয়েছে। এছাড়াও সে বিভিন্ন স্কুল, কলেজ এবং বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া ছাত্রীদের প্রেমের ফাঁদে ফেলে ঘুরতে নিয়ে কৌশলে ধর্ষণ করে আসছিল। এভাবে প্রেম করে নারীদের ধর্ষণ করা ছিল তার নেশা।
Leave a reply