বাজারে গিয়ে চাইলেই কেনা যাচ্ছে না নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য চিনি। বেধে দেয়া মূল্যের চেয়ে মিল পর্যায়ে রাখা হচ্ছে বেশি দাম, আর তাই অভিযানের ভয়ে চিনি বিক্রি করছেন না অনেক ব্যবসায়ী। ক্রেতারা বলছেন, দামের নাভিশ্বাস থেকে মুক্তি পেতে কঠোর তদারকি দরকার।
চিনি নিয়ে বাজার জুড়ে ঘটছে রীতিমতো তুঘলকি কাণ্ড। রাজধানীর অন্যতম বড় পাইকারি আড়ত, কারওয়ান বাজারের দোকানগুলোতেও নেই চিনি। কারণ একটাই, মিলগুলো থেকে সরবরাহ করা হচ্ছে না চিনি। পাশাপাশি যাও পাওয়া যাচ্ছে, দাম রাখা হচ্ছে বেশি। অন্যদিকে সরকার নির্ধারিত দামের চেয়ে বেশি দামে বিক্রি হলেই নেমে আসছে অভিযানের খড়গ। ফলে বিপাকে পড়েছেন সাধারণ মানুষ।
ঊর্ধ্বমুখী চিনির দামের লাগাম টানতে খোলা এবং প্যাকেটজাত চিনির দাম নির্ধারণ করে দেয় বাংলাদেশ সুগার রিফাইনারস অ্যাসোসিয়েশন। তবে নির্ধারিত দামে চিনি বিক্রি হচ্ছে না কোথাও। সরকারি সংস্থা টিসিবির হিসেব বলছে, বছরের ব্যবধানে এই পণ্যের দাম বেড়েছে ২৪ ভাগ।
অথচ আমদানি তথ্য বলছে, চাহিদার তুলনায় গত অর্থবছরে পর্যাপ্ত চিনি দেশে এসেছে। এ সময় অপরিশোধিত চিনি আমদানি হয়েছে প্রায় ১৯ লাখ টন। তারপরও কেন বাজারে চিনির সরবরাহ কমিয়ে দেয়া হয়েছে, এ প্রসঙ্গে কথা কথা বলতে রাজি হয়নি মিল কর্তৃপক্ষ।
Leave a reply