ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে করোনার আগে যেসব শিক্ষার্থীরা গণরুমে ছিলেন তাদের কক্ষ বরাদ্দ দেয়া হবে। আর ইতোমধ্যে যাদের ছাত্রত্ব শেষ হয়েছে তাদের আর হলে ফেরার সুযোগ দিতে চায় না কর্তৃপক্ষ। তবে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের নেয়া এমন সিদ্ধান্তে খুব একটা আস্থা নেই গণরুমের শিক্ষার্থীদের।
আগে দেখা যেতো এক সারি কাঠের চৌকি। একপাশে টেবিল বা বইয়ের তাক আরেক পাশ দিয়ে হাঁটার জায়গাও নেই। সলিমুল্লাহ হলের দক্ষিণের বারান্দায় ৪০ টিরও বেশি চৌকিতে থাকতেন শতাধিক শিক্ষার্থী। বেশিরভাগই প্রথম ও দ্বিতীয় বর্ষের। ঝড়-বৃষ্টি-গরমে অসহ্য বেদনা সঙ্গী হতো তাদের। তবে বন্ধের এই দেড় বছরে ধুলো জমে সবকিছু এখন মলিন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিটি হলের গণরুমের চিত্রই এমন। তাই অনেক স্বপ্ন নিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তে আসা তরুণ মনের মোহ ভাঙতে সময় নেয় না। শিক্ষার্থীদের সঙ্গে তাল মিলিয়ে আবাসন না বাড়ায় স্বপ্নের সঙ্গে বাস্তবতার ফারাক বাড়ে দিন দিন। তবে এই গণরুম প্রথা উঠিয়ে দেয়ার সিদ্ধান্তে আস্থাহীনতা প্রকাশ করলেন শিক্ষার্থীরা।
অক্টোবরের প্রথম সপ্তাহ থেকে পর্যায়ক্রমে বিভিন্ন বর্ষের শিক্ষার্থীরা হলে উঠবেন। তবে যাদের ছাত্রত্ব শেষ হয়েছে, তাদের হলে উঠতে দেয়া হবে না বলে জানালেন বিজয় একাত্তর হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক আব্দুল বাছির। আর উঠতে দেয়া হবে না ছাত্রত্ব শেষ হওয়াদের। সলিমুল্লাহ হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক মুজিবুর রহমানও জানালেন একই কথা।
তারা জানলেন, দেড় বছরের বেশি সময় পর বিশ্ববিদ্যালয়ের হলগুলো খোলায় চলছে সবগুলো হলে সংস্কার ও পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম। হলগুলোর ফটকের পাশে তৈরি করা হয়েছে হাত ধোয়ার ব্যবস্থা।
করোনাকালে আবাসন, স্বাস্থ্যবিধি ও চিকিৎসা নিশ্চিতে স্ট্যান্ডার্ড অপারেটিং প্রসেডিওর অনুযায়ী ব্যাবস্থা নেবে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
Leave a reply