আহমেদ রেজা:
জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের ভাষণে বাংলাদেশ ও বৈশ্বিক সমস্যা তুলে ধরতে সক্ষম হয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এমনটাই মনে করেন বিশ্লেষকরা।
বিশ্লেষকদের মতে, বৈশ্বিক নেতৃত্ব প্রতিষ্ঠা আর ভূ-রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশের গুরুত্ব জানান দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। আফগানিস্তান ইস্যুতে চাপা পড়ে যাওয়া রোহিঙ্গা সঙ্কটকে আবারও বিশ্ব নেতাদের নজরে এনেছেন প্রধানমন্ত্রী।
জাতিসংঘের ৭৬তম অধিবেশনে ১৭তম বারের মত অংশ নিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলায় দেয়া তার বক্তব্যে তুলে ধরেন ৬ দফা প্রস্তাব। এতে প্রাধান্য পায় শান্তি, উন্নয়ন আর বৈষম্য দূরীকরণ। দেশের সবচেয়ে বড় সংকট রোহিঙ্গা ইস্যু, বিশ্বের কাছে আবারও তুলে ধরেন শেখ হাসিনা। বিশ্ব সম্প্রদায়কে আহবান জানান গঠনমূলক উদ্যোগ নেয়ার।
বিশ্লেষকরা মনে করেন, প্রধানমন্ত্রী যথাযথভাবেই তুলে ধরেছেন প্রসঙ্গটি। কেনোনা, মিয়ানমারে জান্তা সরকারের ক্ষমতা দখল ও আফগানিস্তান প্রসঙ্গে অনেকটাই হারিয়ে যেতে বসেছিল বাংলাদেশের জন্য গুরুত্বপূর্ণ রোহিঙ্গা ইস্যু।
সাবেক পররাষ্ট্র সচিব তৌহিদ হোসেন বলেন, কেউ কিন্তু একবারও উচ্চারণ করছে না রোহিঙ্গাদের কথা কিন্তু প্রধানমন্ত্রী সেই বিষয়টি স্মরণ করিয়ে দিয়েছেন বিশ্ববাসীকে। স্মরণ করিয়ে দেয়াটাই কিন্তু আমাদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। আমরা সেই কথাটাই বলে আসছি যে পৃথিবীকে এই ইস্যুটা ভুলে যেতে দেয়া যাবে না।
প্রধানমন্ত্রীর করোনাভাইরাস নিয়ে বক্তব্যের বিষয়ে তিনি বলেন, বৈশ্বিক এই মহামারি থেকে বিশ্বকে রক্ষা করতে হলে তৃতীয় বিশ্বকে অবশ্যই টিকা নিশ্চিত করতে হবে। এই বিষয়ে সবাই কিন্তু স্বীকার করেন কিন্তু কেউ অ্যাকশন নিচ্ছেন না। প্রধানমন্ত্রী এখানে অ্যাকশন চেয়েছেন।
এছাড়া বিশ্বজুড়ে ভ্যাকসিন বৈষম্য দূর করতেও উন্নত দেশগুলোর প্রতি আহবান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। একইসাথে শেখ হাসিনা বঞ্চিত দেশগুলোর পাশে দাঁড়িয়ে বৈশ্বিক নেতৃত্বের নমুনাও দেখিয়েছেন।
ভূ-রাজনীতির গুরুত্বপূর্ণ অংশ হয়ে ওঠা বাংলাদেশ এই অঞ্চলে শান্তি ও স্থিতিশীলতা কীভাবে বজায় রাখতে চায়, সেই নির্দেশনাও প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যে ছিল বলে জানিয়েছেন বিশ্লেষকরা।
এছাড়া উন্নত দেশগুলোকে শ্রমশক্তি গ্রহণের পরামর্শ ও জলবায়ু সংকট মোকাবিলায় বৈশ্বিক ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টার কথাও প্রধানমন্ত্রী তার বক্তব্যে তুলে ধরেছেন বলে মনে করছেন আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশ্লেষকরা।
ইউএইচ/
Leave a reply