তীব্র জ্বালানি সংকটে পড়েছে গোটা যুক্তরাজ্য। পাম্পগুলোতে ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষা করেও মিলছে না তেল। দেশটিতে নজিরবিহীন এই ঘটনায় ক্ষুব্ধ বাসিন্দারা।
কিছুদিন ধরেই তেলের এ সংকট চলছে ব্রিটেনের পাম্পগুলোতে। প্রতিটি স্টেশনেই গাড়ির দীর্ঘ লাইন। বিভিন্ন শহরে বন্ধ হয়ে গেছে রিফুয়েলিং স্টেশন।
ডেভিড টার্নার নামে এক ট্যাক্সি ড্রাইভার বলেন, ২০ মাইল দূর থেকে এসে তিন-চার ঘণ্টা ধরে অপেক্ষা করছি। আরও ১০-১২ ঘণ্টার আগে মনে হয় না তেল নিতে পারবো। এই সময় কোথায় যাবো জানিনা। হয়তো পার্কে থাকতে হবে।
আরেক গাড়িচালক জানান, গতকাল দেড় ঘণ্টার অপেক্ষায় তেল পেয়েছিলাম। কিন্তু আজ কোথাও পাচ্ছি না। গাড়ি বন্ধ হয়ে যাবে কিছুক্ষণ পরই। এভাবে দেশ চলতে পারে না।
তবে দেশে তেলের এই সংকটের কথা সরাসরি স্বীকার করতে নারাজ ব্রিটিশ সরকার। দেশটির পরিবহন বিষয়ক মন্ত্রী গ্রান্ট শাপস জানান, দেশে তেলের কোনো সংকট নেই। কিছু রাজনৈতিক দল এ নিয়ে মিথ্যা বিবৃতি দিচ্ছে। ব্রেক্সিট পরবর্তী জটিলতা এবং করোনা মহামারির কারণে তেল বহনকারী ট্রাক ড্রাইভারের চরম সংকট তৈরি হয়েছে। যে কারণে পেট্রোল পাম্পগুলোয় পর্যাপ্ত তেল সরবরাহ করা যাচ্ছে না। সংকটের কথা শুনে অনেকে প্রয়োজনের চেয়ে অতিরিক্ত তেলও কিনে রাখছে।
অর্থনীতি বিশ্লেষকরা শঙ্কা প্রকাশ করছেন, চলতি শীত মৌসুমে জ্বালানির এই সংকট সত্তর দশকের পরিস্থিতির চেয়ে ভয়াবহ হতে পারে। এখনই শ্রমিক ভিসা সহজ না করলে জনবল সংকটে উৎপাদনমুখী খাতগুলো বন্ধ হওয়ার শঙ্কাও করছেন তারা।
Leave a reply