ভয়ঙ্কর আগ্নেয়াস্ত্র ‘জেপার্ড’ কিনছে ব্রিটেন, উদ্দেশ্য, আফগানিস্তানে প্রতিশোধ নেয়া!

|

ছবি: সংগৃহীত।

আগ্নেয়াস্ত্রটির নাম ‘জেপার্ড জিএম ৬ লিঙ্কস’। এটি বর্তমান বিশ্বের ‌’একে ৪৭’ এর চেয়েও বহুগুণে ভয়ানক। এর একটি মাত্র গুলিতে ধ্বংস হতে পারে একটি গোটা হেলিকপ্টার, উড়ে যেতে পারে বুলেট প্রুফ গাড়িও। খবর আনন্দবাজারের।

এ নিয়ে বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার উদ্বেগ এখন চরমে। কারণ সম্প্রতি একটি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় এই অস্ত্র কিনছে বিপুল পরিমাণে। হিসেবে এই অস্ত্র রাইফেলের ক্যাটাগরিতে পড়লেও এর কার্যকারিকা কামানের থেকে কিছু কম নয়।

অস্ত্রটির ওজন সব মিলিয়ে সাড়ে ১১ কেজি। এর ধ্বংসাত্মক ক্ষমতার তুলনায় ওজন অত্যন্ত কম।
অস্ত্রবিদরা বলছেন, একটি জেপার্ড রাইফেলে পাঁচ রাউন্ড গুলি থাকে। এই পাঁচ রাউন্ড গুলি যে কোনও লক্ষ্যে পর পর আঘাত করে তাকে শেষ করে দিতে সময় নেয় মাত্র তিন সেকেন্ড। অর্থাৎ কোনও যোদ্ধা হাতে এই অস্ত্র নিয়ে প্যারাশ্যুটে করে নামতে পারবেন এবং সে অবস্থাতেই যে কোনও লক্ষ্যবস্তুকে গুড়িয়ে দিতে সক্ষম হবেন।

এই শক্তিশালী রাইফেল কিছু দিন আগেই ব্রিটেনের সেনাবাহিনী ১৫০টি কিনেছে বলে জানা গেছে। আন্তর্জাতিক গোয়েন্দারা জানিয়েছেন, জেপার্ড কিনেছে ব্রিটেনের স্পেশাল এয়ার সার্ভিস, স্পেশাল বোট সার্ভিস এবং স্পেশাল রেকনাইস্যান্স রেজিমেন্ট। ব্রিটেনের এই তিন বাহিনীই কিছু দিন আগে ন্যাটোর অংশ হিসেবে আফগানিস্তানে ছিল।

জানা গেছে, কাবুল বিমানবন্দর চত্বরে বিস্ফোরণের জন্য দায়ী যে আইএস-কে জঙ্গিগোষ্ঠী, তাদের ওপর প্রতিশোধ নিতেই এই অস্ত্র ব্যবহার করা হবে। শোনা যাচ্ছে, ন্যাটো আফগানিস্তান ছাড়লেও ব্রিটেনের তিন বাহিনীর সব মিলিয়ে ৪০ জন সদস্য এখনও রয়ে গেছে আফগানিস্তানে। তারা প্রতিশোধ নিতে চান এবং তারা প্রত্যেকেই বেপরোয়া যোদ্ধা। তাদের হাতে এই জেপার্ড আছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

একই সাথে গোয়েন্দারা জানিয়েছেন, এই নতুন কেনা জেপার্ড রাইফেলের একটি বড় অংশ সিরিয়া, ইরাকেও মোতায়েন করা হয়েছে। এই একেকটি রাইফেলের দাম ৯০ হাজার পাউন্ড। তাই শক্তিশালী আর দামি রাইফেলগুলি হঠাৎ কেনও কেনা হলো এবং সেগুলো দিয়ে ব্রিটেনের সেনা কী করতে চায় তা নিয়ে সংশয়ে বিশেষজ্ঞরা।


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply