জীবন চলার পথে মাঝেমধ্যেই আমরা মানসিক চাপে ভুগি। এই চাপ থেকে অনেক সময় অবসাদ ভর করে শরীরে, যা জীবনকে বিষিয়ে তোলে।
মানসিক চাপ দীর্ঘদিন লালন করলে শরীরের বড় ক্ষতি হতে পারে। এই চাপের কারণে বিষণ্নতা, হৃদরোগ, ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপের মতো বিভিন্ন দীর্ঘমেয়াদি রোগ হতে পারে। এ ছাড়া দৈনন্দিন স্বাস্থ্য সমস্যা যেমন— মাথাব্যথা, পিঠের ব্যথা, অনিদ্রা, পেট খারাপ, উদ্বেগ, ক্রোধ ইত্যাদির পেছনেও দায়ী মানসিক চাপ।
এই চাপ অনুভব করলে তা থেকে উপশমের কিছু উপায় আছে। আসুন জেনে নিই সেই সম্পর্কে:
যোগ-ব্যায়াম
স্ট্রেস বা চাপ কমানোর কার্যকরী উপায় হচ্ছে, যোগ-ব্যায়াম বা ইয়োগা। এটি আপনাকে ধীরস্থির এবং নমনীয় করে তুলে শারীরিক উত্তেজনা থেকে মুক্তি দিতে পারে। গবেষণায় দেখা গেছে যে, যোগ-ব্যায়াম রক্তচাপও কমায়।
এ ছাড়া যোগ-ব্যায়ামের সবচেয়ে বড় সুবিধা হলো, এটি মনোযোগ বৃদ্ধিতে সহায়তা করে।
হাঁটা-হাঁটি
চাপ কমানোর জন্য সবচেয়ে সহজ উপায় হিসেবে বেছে নিতে পারেন হাঁটাহাঁটি করা। ঘন ঘন হাঁটা মানসিক চাপ, উচ্চ রক্তচাপ, কোলেস্টরেল এবং টাইপ-২ ডায়াবেটিস থেকে মুক্তি দেয়।
বাগান করা
ভালো সময় কাটানোর জন্য বাগান করা একটি ভালো উপায়। আপনার চাপ কমাতে বাগান করতে এবং তার পরিচর্চায় কিছু ব্যস্ত সময় কাটাতে পারেন।
নাচ
শুনতে অবাক লাগলেও নাচের অনেক শারীরিক ও মানসিক উপকার রয়েছে। এটি চাপ কমানোর জন্য একটি দুর্দান্ত অনুশীলন, যা আপনার হৃদস্পন্দন বাড়ানোর সাথে সাথে অনুগ্রহ এবং তত্পরতা বৃদ্ধিতেও উপকারী। এ ছাড়া গবেষকরা দেখেছেন যে, যারা সপ্তাহে দুবার কিছু সময় নাচেন তাদের ডিমেনশিয়া হওয়ার ঝুঁকি কম থাকে।
টেনিস খেলা
টেনিস খেলায় অনেক স্ট্রেস-সম্পর্কিত অবস্থা যেমন, উচ্চ রক্তচাপ এবং হৃদরোগ প্রতিরোধ করতে পারে। এটি যেহেতু আপনি একা খেলতে পারবেন না, তাই এর মাধ্যমে আপনাকে অন্যদের সাথে যুক্ত থাকতে হবে। আর এটি হচ্ছে স্ট্রেস কমানোর একটি মূল উপাদান।
ঘরোয়া ব্যায়াম
এটি হচ্ছে ঘরোয়া ব্যয়ামের একটি সিরিজ, যা চাপ কমানোর পাশাপাশি শরীরের সচেতনতা, মূলশক্তি এবং সঠিক সারিবদ্ধকরণের ওপর বিশেষভাবে উপকারী হিসেবে কাজ করতে পারে। ফিটনেস বিশেষজ্ঞ এলেন ব্যারেট বলেন, পেশিকে শক্তিশালী ও দীর্ঘায়িত করা এবং শারীরিক সম্প্রীতি তৈরি করতে অনেক কার্যকরি হচ্ছে পাইলেটস ব্যায়াম। আর এটি করলে তা আপনার চাপকে শরীর থেকে বের করে দিতে সহায়তা করে।
Leave a reply