সিরাজগঞ্জের রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা চুল কাটা ও আত্মহত্যায় প্ররোচনায় অভিযুক্ত শিক্ষক ফারহানা ইয়াসমিন বাতেনকে বহিষ্কারের দাবিতে তাদের আন্দোলন অব্যাহত রেখেছেন। এদিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের সিসিটিভি ফুটেজ নিয়ে চলছে তোলপাড়। অভিযুক্ত শিক্ষক এ ঘটনার দায় অস্বীকার করলেও ক্যাম্পাসের সিসিটিভি ফুটেজে ঘটনার সময় তাকে কাঁচি হাতে দেখা যায়। এছাড়া পরিচ্ছন্নতাকর্মীদের দেখা যায় কাটা চুল তুলে নিয়ে যাচ্ছেন।
এ ঘটনায় লায়লা ফেরদৌস হিমেলকে প্রধান করে পাঁচ সদস্যবিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গ্রঠন করা হয়েছে। লায়লা ফেরদৌস যমুনা নিউজকে জানান, সিসিটিভি ফুটেজটি তাদের হাতে পৌঁছেছে। এছাড়া ঘটনার সময় পরীক্ষার হলে কর্তব্যরত অন্য দুজন শিক্ষকও এই অভিযোগের পক্ষে বিবৃতি দিয়েছেন। প্রত্যক্ষদর্শী একাধিক শিক্ষার্থীসহ অফিস স্টাফরাও শিক্ষার্থীদের অভিযোগের পক্ষে বক্তব্য দিয়েছেন। তারপরও অভিযুক্ত শিক্ষক অস্বীকার করায় এই সিসিটিভি পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হয়েছে।
এ ব্যাপারে শিক্ষার্থীদের দাবি অনুযায়ী তাকে অব্যহতি দেয়া হবে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে লায়লা ফেরদৌস বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়টিতে যে উপাচার্য আছেন, তিনি ভারপ্রাপ্ত। তিনি এ ধরনের সিদ্ধান্ত নেয়ার এখতিয়ার রাখেন কিনা, তা নিশ্চিত না। তাছাড়া ঘটনাটি এখন রাষ্ট্রীয় আইনের আওতায় চলে গেছে, সেখানে এর উপযুক্ত ব্যবস্থা নেয়া হবে বলেও জানান তিনি।
তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন এখনও চূড়ান্ত হয়নি। তবে আজ একটি সভা হওয়ার কথা রয়েছে। সভায় এ নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হবে।
যে শিক্ষার্থী চুল কাটার ঘটনায় আত্মহত্যাচেষ্টা করেছিলেন। তিনি এখন আশঙ্কামুক্ত রয়েছেন। তদন্ত কমিটিসহ প্রশাসন আন্তরিকতার সাথে তার দেখভাল করেছে। আহত ওই শিক্ষার্থীর চিকিৎসার প্রাথমিক ব্যয়ও বিশ্ববিদ্যালয় বহন করছে বলে জানান তদন্ত কমিটির প্রধান ও বিশ্ববিদ্যালয়টির একজন শিক্ষক লায়লা ফেরদৌস।
অনশনরত শিক্ষার্থী ও নির্যাতনের শিকার শিক্ষার্থী সিরাত যমুনা নিউজকে বলেন, দাবি না মানা পর্যন্ত তাদের আমরণ অনশন চলবে। এই মুহূর্তে অন্তত ১৫ শিক্ষার্থী অনশনে রয়েছেন। আহত শিক্ষার্থীকে দেখভালের বিষয়ে সিরাত বলেন, আমরা তাদের দেখভাল চাই না। আমরা চাই নিপীড়ক ওই শিক্ষকের অব্যহতি। তা না করে, প্রশাসন অযথা সময়ক্ষেপন করছে বলেও অভিযোগ তার। প্রশাসনের পক্ষ থেকে অনশনরত শিক্ষার্থীদের সাথে কোনোরকম যোগাযোগও করা হয়নি, এমনকি দেয়া হয়নি কোনো আশ্বাসও।
Leave a reply