পায়রা তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র পরিবেশের ক্ষতি করবে না বলে দাবি করছে সরকার। তাদের ভাষ্য, বিশ্বব্যাংক নির্ধারিত মানদণ্ড মেনেই সর্বাধুনিক আল্ট্রা সুপার ক্রিটিক্যাল প্রযুক্তিতে বিদ্যুৎ তৈরি হচ্ছে এখানে। সার্বক্ষণিক পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে কার্বন ও সালফার নিঃসরণের মাত্রা। তবে পরিবেশবাদীরা বলছেন, কয়লা চালিত কেন্দ্র থেকে পরিবেশের ক্ষতি হবেই।
পায়রা তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রে কয়লা আসে ইন্দোনেশিয়া থেকে বঙ্গোপসাগরের রামনাবাদ চ্যানেল হয়ে। দুটি ইউনিট চালু থাকলে এখানে দৈনিক কয়লা লাগবে ১২ হাজার টন। এখন রোজ পুড়ছে ছয় হাজার টনের মত কয়লা। যদিও আল্ট্রা সুপার ক্রিটিকাল এই কেন্দ্র থেকে পরিবেশের তেমন ক্ষতি হচ্ছে না বলে দাবি নীতিনির্ধারকদের। পায়রা তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের প্রকল্প পরিচালক শাহ আবদুল মাওলা ও বাংলাদেশ চায়না পাওয়ারের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এ এম খোরশেদুল আলম বলছেন, পরিবেশ অধিদপ্তরসহ দায়িত্বশীলদের সার্বক্ষণিক পর্যবেক্ষণে রয়েছে পায়রা তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্র। তাই এর থেকে পরিবেশেের ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা খুবই কম।
তবে পরিবেশবাদীরা বলছেন, কয়লা দিয়ে বিদ্যুৎ উৎপাদন করলে পরিবেশের ক্ষতি অনিবার্য। আর এজন্য বিশ্বব্যাপী বন্ধ হচ্ছে এ ধরনের প্রকল্প। এমনকি এমন কেন্দ্র করতে অর্থায়ন পাওয়াও কঠিন হয়ে পড়েছে। সম্প্রতি পরিকল্পনায় থাকা এমন দশটি কয়লানির্ভর কেন্দ্র বাতিল করেছে বাংলাদেশও। তাই বিদ্যুৎ উৎপাদনে কয়লার ব্যবহার পুরোপুরি বন্ধের তাগিদ পরিবেশ আইনবিদ সমিতির প্রধান নির্বাহী সৈয়দা রিজওয়ানা হাসানের।
২০১০ সালের মহাপরিকল্পনায় ৫০ ভাগ বিদ্যুৎ কয়লা দিয়ে উৎপাদনের লক্ষ্য ছিল। ২০১৬ সালে এসে তা কমিয়ে ৩৫ শতাংশ করেছে সরকার।
Leave a reply