পুলিশ কর্মকর্তার আত্মহত্যায় ৩৫ বছরের সিরিয়াল কিলিংয়ের রহস্য উন্মোচিত

|

ছবি: সংগৃহীত।

সম্প্রতি প্যারিসের ৫৯ বছর বয়সী সাবেক পুলিশ কর্মকর্তা ফ্রাঙ্কোয়া ভেরোভ আত্মহত্যা করেছেন। প্যারিসের দক্ষিণাঞ্চলের একটি ভাড়া বাড়ি থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। সেই সাথে একটি স্বীকারোক্তিমূলত সুইসাইড নোটও পাওয়া যায়। আর তা দেখেই প্যারিস পুলিশের মাথায় আকাশ ভেঙে পড়েছে রীতিমতো। খবর এনডিটিভির।

মূলত ১৯৮০-৯০ ‘র দশকের একটি কুখ্যাত ও অমিমাংসিত সিরিয়াল কিলিংয়ের বিষয়ে ভেরোভ লিখে যান তার সুইসাইড নোটে। এই সিরিয়াল কিলিং প্যারিসের সমাধান না হওয়া অন্যতম রহস্যজনক ঘটনা ছিল। ওই সময় শহরের বিভিন্ন স্থানে একের পর এক কম বয়সী শিশু ও তরুণীদের ধর্ষণ ও হত্যার ঘটনা ঘটতে থাকে। তবে এর পেছনে কে ছিল তার হদিস মেলেনি দীর্ঘ ৩৫ বছরেও।

ভেরোভের সেই সুইসাইড নোটে তিনি লিখে গেছেন, সেই কুখ্যাত খুনের আসামি আসলে তিনি নিজেই। তার করা বেশ কয়েকটি হত্যার ঘটনার গুরুত্বপূর্ণ তথ্য তিনি দিয়ে যান সেই চিঠিতে। তবে কেনও তিনি এই হত্যাগুলো করেছেন তার কারণ বা উদ্দেশ্য উল্লেখ ছিল না সেখানে।

প্যারিস পুলিশের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, পুলিশ পরিচয়ের আড়ালে থেকে এতদিন তিনি এই হত্যাগুলো করে এসেছেন। তাছাড়া এ কাজে পুলিশের ট্রেনিং কাজে লাগিয়েছিলেন তিনি। তাই তার নাগাল পাওয়া যায়নি।

তবে সম্প্রতি ঘটনাস্থলগুলো থেকে পাওয়া ডিএনএ নমুনা এবং একজন সাক্ষীর বর্ণনা অনুযায়ী একটি স্কেস নিয়ে মামলার তদন্ত শুরু হয়েছিল আবারও। তারও কোনও কুল-কিনারা করতে না পেরে অবশেষে মামলাটি চিরতরে বন্ধ করে দেয়ার পরিকল্পনা হচ্ছিল। তবে এরই মধ্যে ভেরোভ আত্মহত্যা করলেন এবং বেরিয়ে এলো আসল ঘটনা।

পুলিশ আরও জানায়, ঘটনাস্থলগুলো থেকে পাওয়া ডিএনএ নমুনার সাথে মৃত ভেরোভের ডিএনএ মিলে গেছে। এতেই প্রমাণিত হয়েছে তিনিই আসল খুনি। তবে শেষ চার বছর তিনি গা ঢাকা দিয়ে একটি ভাড়া বাড়িতে বসবাস করছিলেন বলে জানায় পুলিশ। তবে হত্যার লক্ষ্য এখনও স্পষ্ট নয়।


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply