গত ১৫ আগস্ট ক্ষমতায় আসার পর থেকেই নারীদের প্রতি তালেবানের একের পর এক নতুন আইন সামনে এসেছে। এর মধ্যে কয়েকটি আবার অপপ্রচার বা গুজব বলে পরে প্রমাণিত হলেও এবার ক্যামেরার সামনেই নারীদের বেশভূষা নিয়ে স্পষ্ট তিনটি শর্ত দিয়েছে তালেবান।
সম্প্রতি আফগানিস্তানের সংবাদমাধ্যম টোলো নিউজে একটি সাক্ষাৎকারে হাজির হন তালেবানের এক মুখপাত্র। সেখানে নারীদের কীভাবে চলা উচিত সেই বিষয়ে কথা বলেছেন তিনি।
তিনি বলেন, নারীদের জন্য তিনটি শর্ত। প্রথমত, তাদের পোশাক কোনওভাবেই আকর্ষণীয় হওয়া যাবে না। দ্বিতীয়ত, তারা পারফিউম ব্যবহার করতে পারবেন না। কারণ, শরীরের সুগন্ধ নারীদের প্রতি আকর্ষণের প্রবণতা তৈরি করে। সর্বশেষ হলো, তারা উঁচু জুতা পরতে পারবেন না, যাতে কোনও শব্দ হয়। এটি পুুরুষের প্রতি খারাপ ইঙ্গিত দেয়।
A Taliban member on @TOLOnews: "conditions for women are: the color of their dress should not be attractive, they should not smell good & not use perfume when lefting home, also they should not wear long boots that have sound as it incite men towards bad actions."
V+subtitles 👇 pic.twitter.com/75XZiIGwGj
— Natiq Malikzada (@natiqmalikzada) September 29, 2021
ক্ষমতায় এসেই তালেবান ঘোষণা দিয়েছে, তারা শরীয়ত মোতাবেক দেশ পরিচালনা করবে। সেই মোতাবেকই বিভিন্ন আইনকানুন তৈরির পরিকল্পনা চলছে বলে জানানো হচ্ছে। তবে এসব কিছুর মধ্যে নারীদের প্রতি তালেবানের দৃষ্টিভঙ্গি এবং দেশটিতে নারী স্বাধীনতা নিয়ে ব্যাপক উদ্বেগ প্রকাশ করছে বিশ্ব সম্প্রদায়।
এরই মধ্যে আফগানিস্তানের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে মিথ্যা অপপ্রচার চালাচ্ছে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম। সম্প্রতি তার প্রমাণও মিলেছে। কিছুদিন আগে মার্কিন সংবাদ মাধ্যম নিউইয়র্ক টাইমস জানায়, নারীদের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় নিষিদ্ধ করেছে তালেবান। কাবুল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের একটি টুইটের বরাত দিয়ে সংবাদমাধ্যমটি জানায়, দেশে ইসলামিক পরিস্থিতি সৃষ্টি না হওয়া পর্যন্ত নারীদের বাড়িতে থাকার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
পরে অবশ্য পাকিস্তানের শীর্ষ সংবাদমাধ্যম জিয়ো নিউজ জানায়, তারা সরাসরি কাবুল বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের সাথে কথা বলেছে। সেখোনে নারীরা আগের মতোই ক্লাস করছেন বলে জানিয়েছে কাবুল বিশ্ববিদ্যালয়। তাছাড়া ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের কোনও সোশ্যাল মিডিয়ায় অ্যাকাউন্ট নেই বলেও জানানো হয়। তাই এ সংক্রান্ত তথ্য নিতে হলে কাবুল বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইট নেয়ার পরামর্শ দেন সংশ্লিষ্টরা। সেই ওয়েবসাইটেও এই ধরনের কোনও নির্দেশনা পাওয়া যায়নি।
Leave a reply