ক্রমাগত পাহাড়ধসের ফলে হুমকির মুখে পড়েছে হবিগঞ্জের ত্রিপুরাপল্লি। পাহাড়ি ঢলে এরই মধ্যে সর্বস্ব হারিয়েছে ৫টি পরিবার। দ্রুত উদ্যোগ নেয়া না হলে অস্তিত্ব সংকটে পড়বে সাতছড়ি জাতীয় উদ্যানের এ ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীটি।
হবিগঞ্জের সাতছড়ি জাতীয় উদ্যানে ত্রিপুরাপল্লিতে ২৫টি পরিবারের বাস। শত বছর ধরে এই পাহাড়টিই
তাদের আশ্রয়স্থল। গত কয়েক বছরে তীব্র পাহাড়ি ঢলে নিয়মিত ভূমিধসে পৈত্রিক ভিটা হারিয়েছে ৫টি
পরিবার। বাকিরাও রয়েছেন আতঙ্কে। ভেঙে গেছে চলাচলের রাস্তা, চরম ঝুঁকিতে একমাত্র ব্রিজটিও। বাস্তুহারা সনকা তন্তবায় জানালেন, রাতের আঁধারে আকস্মিক পাহাড়ি ঢল ভাসিয়ে নিয়ে গেছে তার সবকিছু। আপাতত ঠাঁই মিলেছে বনবিভাগের পুরাতন ভবনে।
অস্তিত্ব রক্ষায় নানা জায়গায় ধরনা দিলেও কোনো সুফল মেলেনি। দ্রুত উদ্যোগী না হলে সব হারানোর শঙ্কা পল্লির বাসিন্দাদের। ত্রিপুরা পল্লির হেডম্যান চিত্তরঞ্জন দেববর্মা বললেন তাদের দুর্ভোগের কথা। জানালেন, নানা জায়গায় ঘুরেও কোনো লাভ হয়নি। কেউই এগিয়ে আসেনি তাদের বাস্তু রক্ষায়।
তবে বিষয়টি নিয়ে উদ্বিগ্ন বনবিভাগও। সংকট সমাধানে তারা পানি উন্নয়ন বোর্ডের সহায়তা চেয়েছেন বলে জানালেন বিভাগীয় বন কর্মকর্তা রেজাউল করিম চৌধুরী।
ইতোমধ্যে ত্রিপুরা পল্লি রক্ষায় ৪৮০ মিটার ঢাল সুরক্ষা (স্লোপ প্রটেকশন) কাজের জন্য ৮ কোটি ২১ লাখ টাকার প্রকল্প প্রস্তাব পাঠিয়েছে পানি উন্নয়ন বোর্ড। হবিগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. শাহানেওয়াজ তালুকদার জানালেন, অনুমোদন পেলেই শুরু হবে প্রকল্পটির কাজ।
সট: , , হবিগঞ্জ জেলা প্রশাসক ইশরাত জাহান জানালেন, সংকট সমাধানে যথাযথ উদ্যোগ নেবে তার প্রশাসন। এছাড়া ত্রিপুরা পল্লির বাসিন্দারা চাইলে জেলা প্রশাসন সমতলে তাদের পুনর্বাসনের উদ্যোগ নেবে বলেও জানান তিনি।
তবে এখনও পর্যন্ত পিতৃপুরুষের ভিটায়ই সুরক্ষিত থাকতে চান বন-পাহাড়ের ওপর নির্ভরশীল ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর এসব মানুষ।
Leave a reply