স্ত্রী ও শ্বশুরবাড়ির সদস্যদের কাছে মার খেয়ে ও অপমানিত হয়ে বিষ খেয়ে আত্মহত্যা করেছেন এক জামাই। মৃতের নাম বিশ্বজিৎ দাস। ভারতের দক্ষিণ ২৪ পরগনার জীবনতলা থানার মঠের দিঘিতে এ ঘটনা ঘটেছে। বিষ খেয়ে অসুস্থ হওয়ার পর সোমবার রাতে ওই যুবকের মৃত্যু হয়।
গত ৬ মার্চ সকালে শ্বশুরবাড়িতে গিয়ে অপমানিত মারধরের শিকার হয় বিশ্বজিৎ। পরে বাড়ি ফিরে এসে বিষ খেয়ে গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়ে। তখন তাকে স্থানীয় ক্যানিং মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি হয়। এক সপ্তাহ মৃত্যুর সঙ্গে লড়াই করার পর অবশেষে সোমবার রাতে মৃত্যু হয় ওই যুবকের। ঘটনায় স্ত্রী ও শ্বশুরবাড়ির অন্য সদস্যদের নামে জীবনতলা থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন মৃতের পরিবারের সদস্যরা।
মাত্র ছয় মাস আগে কনের বাবা জোর করে বিশ্বজিৎকে ধরে নিয়ে কনে ববিতার সঙ্গে বিশ্বজিতের বিয়ে দেন। বাপ-মা মরা বিশ্বজিতের সঙ্গে ববিতার প্রেমের সম্পর্ক থাকায় পাত্র-পাত্রী নাবালক হলেও প্রাথমিকভাবে কেউ বাধা দেয়নি। বিয়ের পর ববিতাকে নিয়ে মঠের দীঘিতে নিজের বাড়িতে ২ মাস থাকার পর ববিতা ক্যানিংয়ে তার বাপের বাড়িতে চলে আসে।
স্ত্রীকে আনতে গেলে বিশ্বজিৎকে বারবার অপমান করে শ্বশুরবাড়ির লোকজন। তার পৈতৃক সম্পত্তি বিক্রি করে টাকা শ্বশুরবাড়ির হাতে তুলে দেয়ার জন্যও চাপ দিতে থাকে। কিন্তু বিশ্বজিৎ তাদের কথা না শুনলে তার ওপর মানসিক চাপ বাড়াতে থাকে স্ত্রী ববিতা এবং তার মা বিশা ঘোড়ুই।
পৈতৃক সম্পত্তি বিক্রি না করার কারণে বিশ্বজিৎকে মারধরের পাশাপাশি তাকে অত্যন্ত নোংরা ভাষায় গালিগালাজ করে অপমানিত করে ববিতা ও তার পরিবার। সেই অপমান সহ্য করতে না পেরে বাড়ি ফিরে বিষ খেয়ে আত্মঘাতী হওয়ার চেষ্টা করে ওই যুবক।
Leave a reply