বিতর্কের শেষ নেই ব্রাভোর ওয়াইড নিয়ে

|

ছবি: সংগৃহীত

আইপিএল টেবিলের শীর্ষ দুই দল দিল্লি বনাম চেন্নাইয়ের ম্যাচে ডোয়াইন ব্রাভোর ওয়াইড বল নিয়ে সামাজিক মাধ্যম ও বিশেষজ্ঞদের মধ্যে বিতর্ক এখন চরমে। এই যেমন ভারতের সাবেক অধিনায়ক সুনীল গাভাস্কার মনে করেন বলটি ‘নো’ ছিল। আম্পায়ার অনিল চৌধুরী প্রথমে নো বলই কল করেন। তবে রিপ্লে দেখে সিদ্ধান্ত পাল্টান, ঘোষণা করেন ‘ওয়াইড’। বাইলজের সমর্থনও পাচ্ছেন তিনি।

দিল্লির তখন ৬ বলে ৬ রান দরকার। এমন সময় ক্যাপ্টেন কুল মহেন্দ্র সিং ধোনি তার স্লগ ওভারের বোলিং অস্ত্র ডোয়াইন ব্রাভোকে নিয়ে এলেন আক্রমণে। ডেথ ওভার স্পেশালিস্ট ব্রাভো প্রথম বলটি ফুল অ্যান্ড ওয়াইড করে পারও পেয়ে যান। তবে শিমরন হেটমায়ারকে ২ রান থেকে বঞ্চিত করতে পারেননি।

তবে বিপত্তি বাধে দ্বিতীয় বলে। একইরকম বল করতে যেয়ে গ্রিপ বেঁকে বসে, বল আর থাকেনি নিয়ন্ত্রণে। বাঁহাতি হেটমায়ার অফসাইডে সরে এসেও নাগাল পাননি বলের, নাগাল পাননি উইকেটরক্ষক ধোনিও।

আম্পায়ার অনিল চৌধুরী প্রথমে দেন ওয়াইডের সিগন্যাল। কিন্তু এরপরই বাধে বিপত্তি। রিপ্লে দেখে থার্ড আম্পায়ারের নির্দেশনায় ওয়াইড বল বদলে নো-বলের সিগন্যাল দিয়ে বসেন এবার অনিল। ফ্রি-হিট মিস করে দিল্লি, যদিও তাদের ম্যাচ জয়ে কোনো সমস্যা হয়নি।

তবে সামাজিক মাধ্যমে এ নিয়ে চলে তুমুল ঝড়। সেই আলোচনায় যুক্ত হয়েছেন ভারতের সাবেক অধিনায়ক সুনীল গাভাস্কারও। এবং তিনি নো বলের পক্ষে, আম্পায়ার অনিল চৌধুরীকে দুষছেন।

গাভাস্কার বলেন, এটা পরিস্কার নো বল। টিভি আম্পায়ার কেন অনিলের ডাকা নো বলকে ওয়াইড ঘোষণার পরামর্শ দিলেন বুঝতে পারছি না। এটা জয়-পরাজয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারতো, এভাবে সিদ্ধান্ত দেয়া ঠিক নয়।

তবে তৃতীয় আম্পায়ার সাঈদ খালিদ ভুল করেননি, ভুল নির্দেশনা দেননি অনিল চৌধুরীকে; আইপিএলের বাইলজ সেরকমই বলছে। কারণ নো বলের ব্যাখ্যায় বলা হয়েছে, অবশ্যই এটি ব্যাটসম্যানের সামনে, শরীরে অথবা পপিং ক্রিজের যেকোনো অংশকে টাচ করতে হবে। কিন্তু ব্রাভোর বলটি এর কোনোটিই স্পর্শ করেনি, আর তাই এটি ওয়াইড।

এই বিতর্কে তাই গাভাস্কারও পানি পাচ্ছেন না। এখন দেখার বিষয়, ১৪০ বছর বয়সী আর্ন্তজাতিক ক্রিকেটে- এই ঘটনা কী প্রভাব ফেলে। বদলাবে কি নো বলের আইন?

এম ই/


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply